ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪৯:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ মঙ্গলবার (০৬ মে) ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভা শেষে বিকেল ৩টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বক্তব্য দেবেন।

বৈঠকে বাংলাদেশিদের নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসন, মানবপাচার মোকাবেলা এবং বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অবৈধ অভিবাসন এবং মানবপাচার বন্ধে বাংলাদেশ ইতালির সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, কিছু আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী আছে যারা অবৈধ পথে বাংলাদেশিদের ইতালি যেতে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে।

এদিকে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে মাইগ্রেশন অ্যান্ড মবিলিটি বিষয়ক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। মঙ্গলবার (০৬ মে) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি ও প্রবাসী কল্যাণ ভবনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের উপস্থিতিতে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।

এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে প্রথম কোনো এমওইউ (সমঝোতা স্মারক) সই এটা। বৈধ পথে মাইগ্রেশন বৃদ্ধি করতেই আমাদের এই উদ্যোগ। যারা ইতালি গমনেচ্ছু তারা যেন নিরাপদে যেতে পারেন, ভালো পারিশ্রমিক পান সেটাই লক্ষ্য আমাদের। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পর আমরা ৬টা এমওইউ করেছি। এর প্রধান উদ্দেশ্য ইউরোপের দেশ গুলোতে বৈধ অভিবাসন বৃদ্ধি করা। অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করা।

তিনি বলেন, ইতালি সৃজনাল ও নন সৃজনাল দুইভাবে লোক নেবে। আমাদের পরিকল্পনা জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ করব। তারা বছরে একবার করে মিটিং করবে। আমাদের টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার আছে, যেখানে ইতালি যেন আমাদের কর্মীদের ইতালি ভাষা শিখতে পারে, আমরা এই বিষয়ে তাদের অনুরোধ করেছি। তারা আমাদের অনুরোধ রাখবে। তিনি বলেন, আমাদের অ্যাম্বাসির ফাইলগুলো যেন দ্রুত কার্যকর হয়। এ ছাড়া ইতালিতে যারা বাংলাদেশি ছাত্র আছে, তাদের ভিসা প্রক্রিয়া যেন সহজ হয়। অভিবাসনের দিক দিয়ে আমাদের কে যেন ইতালির সরকারের ঝুঁকিপূর্ণ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় সেই অনুরোধ জানিয়েছি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস

আপডেট সময় ১২:৪৯:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ মঙ্গলবার (০৬ মে) ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভা শেষে বিকেল ৩টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বক্তব্য দেবেন।

বৈঠকে বাংলাদেশিদের নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসন, মানবপাচার মোকাবেলা এবং বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অবৈধ অভিবাসন এবং মানবপাচার বন্ধে বাংলাদেশ ইতালির সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, কিছু আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী আছে যারা অবৈধ পথে বাংলাদেশিদের ইতালি যেতে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে।

এদিকে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে মাইগ্রেশন অ্যান্ড মবিলিটি বিষয়ক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। মঙ্গলবার (০৬ মে) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি ও প্রবাসী কল্যাণ ভবনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের উপস্থিতিতে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।

এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে প্রথম কোনো এমওইউ (সমঝোতা স্মারক) সই এটা। বৈধ পথে মাইগ্রেশন বৃদ্ধি করতেই আমাদের এই উদ্যোগ। যারা ইতালি গমনেচ্ছু তারা যেন নিরাপদে যেতে পারেন, ভালো পারিশ্রমিক পান সেটাই লক্ষ্য আমাদের। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পর আমরা ৬টা এমওইউ করেছি। এর প্রধান উদ্দেশ্য ইউরোপের দেশ গুলোতে বৈধ অভিবাসন বৃদ্ধি করা। অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করা।

তিনি বলেন, ইতালি সৃজনাল ও নন সৃজনাল দুইভাবে লোক নেবে। আমাদের পরিকল্পনা জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ করব। তারা বছরে একবার করে মিটিং করবে। আমাদের টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার আছে, যেখানে ইতালি যেন আমাদের কর্মীদের ইতালি ভাষা শিখতে পারে, আমরা এই বিষয়ে তাদের অনুরোধ করেছি। তারা আমাদের অনুরোধ রাখবে। তিনি বলেন, আমাদের অ্যাম্বাসির ফাইলগুলো যেন দ্রুত কার্যকর হয়। এ ছাড়া ইতালিতে যারা বাংলাদেশি ছাত্র আছে, তাদের ভিসা প্রক্রিয়া যেন সহজ হয়। অভিবাসনের দিক দিয়ে আমাদের কে যেন ইতালির সরকারের ঝুঁকিপূর্ণ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় সেই অনুরোধ জানিয়েছি।