ময়মনসিংহ , রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
হাদির ওপর হামলাকারীদের ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সরকার বললেন রিজওয়ানা অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২: তিনজন গ্রেপ্তার খাগড়াছড়িতে প্রধান বিচারপতি বিকালে বিদায়ী ভাষণ দিবেন নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ইসির চিঠি আইজিপিকে হাদির ওপর হামলা নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র বললেন নাহিদ আশঙ্কা করছি, হাদির মতো এ রকম ঘটনা আরও ঘটতে পারে বললেন মির্জা ফখরুল ‘ মির্জা ফখরুলের দুর্নীতির প্রমাণ মেলেনি ফাইল তন্নতন্ন করে খুঁজেও’ আগামীর বাংলাদেশ গড়ে উঠবে জুলাই সনদের ভিত্তিতে বললেন মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা দেশকে মেধাহীন করতে হাদিকে হত্যাচেষ্টা, হিট লিস্টে অনেকেই বললেন আসিফ মাহমুদ আজ হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

ওরা ছাড়া পায় কীভাবে: আছিয়ার মা ক্ষুব্ধ তিন আসামির খালাসে

প্রধান আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত মাগুরায় ৮ বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড মামলায় । পাশাপাশি তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। শিশুটির মা ও মামলার বাদী আয়েশা বেগম এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।আয়েশা বেগম বলেন, ‘হিটু শেখের সঙ্গে আরও তিনটা আসামি ছিল, তারা আমার মেয়েকে মারতে সহযোগিতা করছে। তারা কীভাবে খালাস পেয়ে গেল?’

এর আগে শনিবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এ রায় দেন। এতে প্রধান আসামি হিটু শেখের প্রাণদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এ সময় নিজের মেয়ের জামাই সজীব শেখের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘তার তো শালী, তার তো একটা দায়িত্ব ছিল। ও তো নিজেই ছেড়ে দিছে। তাইলে আমরা এই রায়ে খুশি হলাম কীভাবে? আমি হাইকোর্টে যাব, যাতে ওই তিনজনেরও শাস্তি হয়।’

আদালত মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া মামলার অন্য আসামিরা- বোনের জামাতা সজীব শেখ, সজীবের ভাই রাতুল শেখ ও তাদের মা রোকেয়া বেগমকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

তিন আসামির ব্যাপারে আপিলের বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়োজিত বিশেষ কৌঁসুলি এহসানুল হক সমাজী বলেন, আমরা সেই রায়ের কপি সংগ্রহ করে সেটাকে পর্যালোচনা করে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যথানিয়মে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উপদিষ্ট হলে বা ইনস্ট্রাক্টেড হলে উচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করার সুযোগ রয়েছে।

এর আগে ৬ মার্চ মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শিশুটি তার বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়। সাত দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান।

গত ১৩ এপ্রিল মাগুরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন। । ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় বিচার কার্যক্রম। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২৭ এপ্রিল।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন ২৯ জন। ছুটির দিন বাদে টানা শুনানি করে ১২ কার্যদিবসে শেষ হয় বিচার।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হাদির ওপর হামলাকারীদের ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সরকার বললেন রিজওয়ানা

ওরা ছাড়া পায় কীভাবে: আছিয়ার মা ক্ষুব্ধ তিন আসামির খালাসে

আপডেট সময় ০৩:০৫:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

প্রধান আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত মাগুরায় ৮ বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড মামলায় । পাশাপাশি তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। শিশুটির মা ও মামলার বাদী আয়েশা বেগম এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।আয়েশা বেগম বলেন, ‘হিটু শেখের সঙ্গে আরও তিনটা আসামি ছিল, তারা আমার মেয়েকে মারতে সহযোগিতা করছে। তারা কীভাবে খালাস পেয়ে গেল?’

এর আগে শনিবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এ রায় দেন। এতে প্রধান আসামি হিটু শেখের প্রাণদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এ সময় নিজের মেয়ের জামাই সজীব শেখের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘তার তো শালী, তার তো একটা দায়িত্ব ছিল। ও তো নিজেই ছেড়ে দিছে। তাইলে আমরা এই রায়ে খুশি হলাম কীভাবে? আমি হাইকোর্টে যাব, যাতে ওই তিনজনেরও শাস্তি হয়।’

আদালত মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া মামলার অন্য আসামিরা- বোনের জামাতা সজীব শেখ, সজীবের ভাই রাতুল শেখ ও তাদের মা রোকেয়া বেগমকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

তিন আসামির ব্যাপারে আপিলের বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়োজিত বিশেষ কৌঁসুলি এহসানুল হক সমাজী বলেন, আমরা সেই রায়ের কপি সংগ্রহ করে সেটাকে পর্যালোচনা করে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যথানিয়মে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উপদিষ্ট হলে বা ইনস্ট্রাক্টেড হলে উচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করার সুযোগ রয়েছে।

এর আগে ৬ মার্চ মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শিশুটি তার বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়। সাত দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান।

গত ১৩ এপ্রিল মাগুরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন। । ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় বিচার কার্যক্রম। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২৭ এপ্রিল।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন ২৯ জন। ছুটির দিন বাদে টানা শুনানি করে ১২ কার্যদিবসে শেষ হয় বিচার।