ময়মনসিংহ , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

ফের পেছাল জিকে শামীমের জামিন শুনানি,এই নিয়ে ৩৩ বার

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১৮:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

আলোচিত ব্যবসায়ী এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমের জামিন আবেদন শুনানি নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না। উচ্চ আদালতে টানা ৩৩ বার মামলার শুনানির দিন ধার্য হলেও সেটার শুনানি হয়নি। ফের পিছিয়েছে শুনানির তারিখ।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশান নিকেতনের বাসা থেকে জিকে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিন নগদ এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার ১০টি এফডিআর, ৩২টি ব্যাংক হিসাবের চেক বই, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার দাবি করে র‌্যাব। অভিযনের পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে জিকে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেন র‌্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান। ওই মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ থেকে ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই মানিলন্ডারিংয়ের চেষ্টা মামলার রায় হয়।

জিকে শামীমের আইনজীবীরা জানান, ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় মামলায় মানি লন্ডারিংয়ের চেষ্টার যে কথা যা বলা হয়েছে, সেটা রাষ্ট্র পক্ষ প্রমাণ করতে পারেনি। তার যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, ব্যাংক স্থিতি, এফডিআর মিলে ২৯৭ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়। আদালত কর্তৃক এই মামলার সাথে সংশ্লিষ্ট ২৯টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, এফডিআর অবমুক্ত করার জন্য চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় সর্বমোট সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করেছে ২৯৭ কোটি টাকা। বাস্তবে জিকে শামীমের আয়কর রিটার্ন ও সমুদয় তথ্য যাচাই বাছাই করে সার্টিফাইড কপি ইসু করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

এতে দেখা যায়, জিকে শামীমের ৩৫৩ কোটি টাকা বৈধ অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। মামলায় উল্লেখিত অস্থাবর সম্পদের চাইতে অতিরিক্ত ৫৬ কোটি টাকা বেশি বৈধ অস্থাবর সম্পদ পাওয়া গেছে। এরপরও মামলায় জিকে শামীমকে ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে জিকে শামীম হাইকোর্ট বিভাগে জামিন চাইলে তাকে জামিন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মামলাটি চেম্বার জজ আদালত থেকে জামিন স্থগিত করা হয়। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জিকে শামীম পুনরায় জমিন আবেদন করেছেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তার শুনানি হচ্ছে না।

জিকে শামীমের আইনজীবী বলেন, শতভাগ খালাস যোগ্য উক্ত মামলাটি নিরপেক্ষ ন্যায় ও ন্যায্যতার সঙ্গে বিচার পাওয়া গেলে মামলা থেকে তার মোয়াক্কেল অব্যাহতি পাবেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমল করা মামলাটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় ৩৩ দফায় তারিখ দেওয়ার পরও মামলাটির শুনানি না হওয়ার অমানবিক ও ন্যায় বিচার পরিপন্থি।

উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারের সময় জিকে শামীমের জিকে বিল্ডার্স র‌্যাব সদরদপ্তর, সচিবালয়ে ও কয়েকটি হাসপাতালের নতুন ভবনসহ অন্তত ২২টি নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ ছিল। ওই প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। পরে সেগুলোর কার্যাদেশ বাতিল হয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

গ্যাসের সন্ধান মিলেছে জামালপুরে

ফের পেছাল জিকে শামীমের জামিন শুনানি,এই নিয়ে ৩৩ বার

আপডেট সময় ০১:১৮:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

আলোচিত ব্যবসায়ী এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমের জামিন আবেদন শুনানি নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না। উচ্চ আদালতে টানা ৩৩ বার মামলার শুনানির দিন ধার্য হলেও সেটার শুনানি হয়নি। ফের পিছিয়েছে শুনানির তারিখ।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশান নিকেতনের বাসা থেকে জিকে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিন নগদ এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার ১০টি এফডিআর, ৩২টি ব্যাংক হিসাবের চেক বই, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার দাবি করে র‌্যাব। অভিযনের পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে জিকে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেন র‌্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান। ওই মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ থেকে ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই মানিলন্ডারিংয়ের চেষ্টা মামলার রায় হয়।

জিকে শামীমের আইনজীবীরা জানান, ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় মামলায় মানি লন্ডারিংয়ের চেষ্টার যে কথা যা বলা হয়েছে, সেটা রাষ্ট্র পক্ষ প্রমাণ করতে পারেনি। তার যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, ব্যাংক স্থিতি, এফডিআর মিলে ২৯৭ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়। আদালত কর্তৃক এই মামলার সাথে সংশ্লিষ্ট ২৯টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, এফডিআর অবমুক্ত করার জন্য চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় সর্বমোট সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করেছে ২৯৭ কোটি টাকা। বাস্তবে জিকে শামীমের আয়কর রিটার্ন ও সমুদয় তথ্য যাচাই বাছাই করে সার্টিফাইড কপি ইসু করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

এতে দেখা যায়, জিকে শামীমের ৩৫৩ কোটি টাকা বৈধ অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। মামলায় উল্লেখিত অস্থাবর সম্পদের চাইতে অতিরিক্ত ৫৬ কোটি টাকা বেশি বৈধ অস্থাবর সম্পদ পাওয়া গেছে। এরপরও মামলায় জিকে শামীমকে ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে জিকে শামীম হাইকোর্ট বিভাগে জামিন চাইলে তাকে জামিন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মামলাটি চেম্বার জজ আদালত থেকে জামিন স্থগিত করা হয়। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জিকে শামীম পুনরায় জমিন আবেদন করেছেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তার শুনানি হচ্ছে না।

জিকে শামীমের আইনজীবী বলেন, শতভাগ খালাস যোগ্য উক্ত মামলাটি নিরপেক্ষ ন্যায় ও ন্যায্যতার সঙ্গে বিচার পাওয়া গেলে মামলা থেকে তার মোয়াক্কেল অব্যাহতি পাবেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমল করা মামলাটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় ৩৩ দফায় তারিখ দেওয়ার পরও মামলাটির শুনানি না হওয়ার অমানবিক ও ন্যায় বিচার পরিপন্থি।

উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারের সময় জিকে শামীমের জিকে বিল্ডার্স র‌্যাব সদরদপ্তর, সচিবালয়ে ও কয়েকটি হাসপাতালের নতুন ভবনসহ অন্তত ২২টি নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ ছিল। ওই প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। পরে সেগুলোর কার্যাদেশ বাতিল হয়।