জামালপুর প্রতিনিধি- প্রসাদ দাস
জামালপুরের বিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগ ।
জামালপুর সদর উপজেলার ৫নং ইটাইল ইউনিয়নের অন্তর্গত মৌলভী নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়ায় একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র মূলক অপপ্রচার চলিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহীদুল আলম। এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন বিগত ২০২১ সালে জনবল কাঠামো অনুযায়ী তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটি বিগত ৯ এপ্রিল ২০২২ খ্রি: ৪র্থ শ্রেনির কর্মচারী আয়া ও ৩য় শ্রেনির কর্মচারী অফিস সহায়ক পদে নিয়োগের জন্য প্রথম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে অপপ্রচার চালানোর মূল হোতা আলপনা আক্তার সহ সর্বমোট ১০ জন প্রার্থী অফিস সহায়ক পদে চাকুরীর জন্য আবেদন করেন এসময় অফিস সহায়ক পদে আবেদন কারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে কৌশলে আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে উক্ত মামলা বিজ্ঞ আদালত খারিজ করে দেন।
’
এতে সময় দীর্ঘায়িত হওয়ায় উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাতিল করে পুনরায় বিগত ৯ মে ২০ ২০২৩ আয়া, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করাহয় তাতে আয়া ও কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও প্রতিকূল পরিস্থিতির করনে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি।পরবর্তীতে ৪ মে ২০২৪ খ্রিঃ অফিস সহায়ক পদে বিধি মোতাবেক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং পূর্বের প্রর্থীদের পুনরায় আবেদন করতে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হলেও আল্পনা আক্তার ও মোছাঃ নূরনেহার ৩য় বিজ্ঞপ্তিতে অফিস সহায়ক পদের জন্য অবেদন করেননি।
জামালপুরের বিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগ ।
অভিযুক্ত আল্পনা আক্তার ও তার নিকট আত্মীয় দমদমা বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আব্দুল মতিন এবং এলাকার কিছু বখাটে সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন নিয়ে আল্পনাকে চাকুরী পাইয়ে দেয়ার জন্য হীন উদ্দেশ্যে ব্যর্থ হয়ে ১জুন ২০২৪ আনুমানিক বেলা ১১ টার দিকে আপ্পনা ও মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল মতিন এর নেতৃত্বে এলাকার ভাড়াটে দুষ্কৃতিকারীদের সঙ্গে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষকের অফিসে অতর্কিত ভাবে প্রবেশ করে অফিসে থাকা বিভিন্ন ফাইলপত্র তছনছ করে এবং প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদর্শন করে।
এসময় বেশ কয়েকজন সহকারী শিক্ষকদের গালমন্দ করে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া যায়।