কিশোরগঞ্জ শহরে গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক রাজিন সালেহর বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পর তালাক দেওয়ার অভিযোগ করেন তার স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার হাসি। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে রাজিন সালেহ পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের চক্রান্ত।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের গৌরাঙ্গবাজারের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের কার্যালয়ে রাজিন সালেহ সংবাদ সম্মেলন করেন।
তিনি দাবি করেন, স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার ‘নিয়ন্ত্রণহীন জীবনাচরণে’ অভ্যস্ত হয়ে ওঠায় গত ২৭ জুন তাকে তালাকনামা পাঠানো হয়।
রাজিন সালেহ বলেন, ‘তালাকের বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে বৃহস্পতিবার আমার স্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এর নেপথ্যে একটি মহলের ইন্ধন রয়েছে, যারা এনসিপিকে পাকুন্দিয়ায় হুমকি মনে করছে। গত ২৯ জুন আমাকে উপজেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক করা হয়, এরপর থেকেই আমাকে নিয়ে অপপ্রচার শুরু হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার একমাত্র শিশুসন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে আমার বাড়িতে নিয়ে এসেছি। আমি প্রচলিত আইনের মাধ্যমে সন্তানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে রাজিন সালেহ তার সাবেক স্ত্রীর করা সব অভিযোগ ‘মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেও উল্লেখ করেন।
এদিকে সুমাইয়া আক্তার হাসি বলেন, ‘রাজিন সালেহ যা বলছেন, তা সত্য নয়। আমাকে কেউ ইন্ধন দেয়নি। আমি সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছি, তা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও বাস্তব ঘটনার ভিত্তিতে বলেছি।’