ময়মনসিংহ , সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে বললেন মির্জা ফখরুল

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট চক্রান্ত চলছে। তিনি বলেন, বিএনপিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।

গতকাল রবিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘তারেক রহমান : দ্য হোপ অব বাংলাদেশ’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে যে অপপ্রচার হচ্ছে, তার পেছনে রয়েছে সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এর লক্ষ্য—বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নির্মূল করা। সেই চক্রান্তের বড় অংশ হলো আমাদের নেতা তারেক রহমানকে খারাপ জায়গায় উপস্থাপন করা, তাঁর ভাবমূর্তি বিনষ্ট করা।’

২০০২ সালের চীন সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চীনের প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর সঙ্গে থাকা তারেক রহমানকে পরিচয় করিয়ে দেন, ‘মাই সান’ বলে। তখন চীনের প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমানের হাত ধরে বলেন, ‘ক্যারি ফ্ল্যাগ অব ইওর ফাদার অ্যান্ড মাদার’। তারেক রহমান সেই দায়িত্বই পালন করছেন। তিনি নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থেকেছেন, নির্বাসনে দিন কাটিয়েছেন, তবু মাথা নত করেননি।”

তারেক রহমানকে ‘আশার প্রতীক’ হিসেবে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যেভাবে তিনি সংগঠনকে পরিচালনা করছেন, যেভাবে স্বল্প সময়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছেন, তা অনেকের পক্ষে সম্ভব হতো না। তাঁর মধ্যে রয়েছে অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতা।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি বারবার প্রমাণ করেছে, ধ্বংসস্তূপ থেকেও জেগে উঠতে জানে। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পরও অনেকে মনে করেছিল বিএনপি শেষ। কিন্তু দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি আবার জেগে উঠেছিল। সেটিই বিএনপির মূল শক্তি—এটা আমাদের ইনহেরেন্ট পাওয়ার।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির উপস্থিতি শক্তিশালী করার তাগাদা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া প্রচণ্ডভাবে প্রভাবিত করছে আমাদের মানুষকে। সেই সঙ্গে সাইবার ওয়ার্ল্ডে যে যুদ্ধ, সেই যুদ্ধের জন্য যে প্রস্তুতি ওই জায়গায় আমরা কিন্তু খুবই দুর্বল। এই জায়গাটা আরো সবল করা দরকার আমাদের। এই জায়গাটায় তরুণদের প্রবলভাবে আসা দরকার। কারো অনুমতি নেওয়ার দরকার নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বলি আমরা শ্রেষ্ঠ। কিন্তু কেন শ্রেষ্ঠ, সেটাও বুঝিয়ে বলতে হবে। মেধার কোনো বিকল্প নেই। মেরিটোক্রেসি ছাড়া সামনে এগোনো যাবে না।’

তারেক রহমানের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বিএনপির এই সাবেক প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁর মধ্যে নিজস্ব গুণাবলি আছে বলেই আজ তিনি এখানে। তাঁর সাংগঠনিক সক্ষমতা অনন্য। অল্প সময়েই তিনি দলকে সংগঠিত করেছেন। বিএনপিকে তাই সহজে শেষ করা যাবে না।’

বই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ। সঞ্চালনা করেন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহিদ উর রহমান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উপদেষ্টা মাহদি আমিন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেন্টাল অনুষদের ডিন ও সহযোগী অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ প্রমুখ।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে বললেন মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ১১:১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট চক্রান্ত চলছে। তিনি বলেন, বিএনপিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।

গতকাল রবিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘তারেক রহমান : দ্য হোপ অব বাংলাদেশ’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে যে অপপ্রচার হচ্ছে, তার পেছনে রয়েছে সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এর লক্ষ্য—বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নির্মূল করা। সেই চক্রান্তের বড় অংশ হলো আমাদের নেতা তারেক রহমানকে খারাপ জায়গায় উপস্থাপন করা, তাঁর ভাবমূর্তি বিনষ্ট করা।’

২০০২ সালের চীন সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, “তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চীনের প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর সঙ্গে থাকা তারেক রহমানকে পরিচয় করিয়ে দেন, ‘মাই সান’ বলে। তখন চীনের প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমানের হাত ধরে বলেন, ‘ক্যারি ফ্ল্যাগ অব ইওর ফাদার অ্যান্ড মাদার’। তারেক রহমান সেই দায়িত্বই পালন করছেন। তিনি নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থেকেছেন, নির্বাসনে দিন কাটিয়েছেন, তবু মাথা নত করেননি।”

তারেক রহমানকে ‘আশার প্রতীক’ হিসেবে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যেভাবে তিনি সংগঠনকে পরিচালনা করছেন, যেভাবে স্বল্প সময়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছেন, তা অনেকের পক্ষে সম্ভব হতো না। তাঁর মধ্যে রয়েছে অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতা।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি বারবার প্রমাণ করেছে, ধ্বংসস্তূপ থেকেও জেগে উঠতে জানে। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পরও অনেকে মনে করেছিল বিএনপি শেষ। কিন্তু দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি আবার জেগে উঠেছিল। সেটিই বিএনপির মূল শক্তি—এটা আমাদের ইনহেরেন্ট পাওয়ার।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির উপস্থিতি শক্তিশালী করার তাগাদা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া প্রচণ্ডভাবে প্রভাবিত করছে আমাদের মানুষকে। সেই সঙ্গে সাইবার ওয়ার্ল্ডে যে যুদ্ধ, সেই যুদ্ধের জন্য যে প্রস্তুতি ওই জায়গায় আমরা কিন্তু খুবই দুর্বল। এই জায়গাটা আরো সবল করা দরকার আমাদের। এই জায়গাটায় তরুণদের প্রবলভাবে আসা দরকার। কারো অনুমতি নেওয়ার দরকার নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বলি আমরা শ্রেষ্ঠ। কিন্তু কেন শ্রেষ্ঠ, সেটাও বুঝিয়ে বলতে হবে। মেধার কোনো বিকল্প নেই। মেরিটোক্রেসি ছাড়া সামনে এগোনো যাবে না।’

তারেক রহমানের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বিএনপির এই সাবেক প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁর মধ্যে নিজস্ব গুণাবলি আছে বলেই আজ তিনি এখানে। তাঁর সাংগঠনিক সক্ষমতা অনন্য। অল্প সময়েই তিনি দলকে সংগঠিত করেছেন। বিএনপিকে তাই সহজে শেষ করা যাবে না।’

বই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ। সঞ্চালনা করেন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহিদ উর রহমান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উপদেষ্টা মাহদি আমিন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেন্টাল অনুষদের ডিন ও সহযোগী অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ প্রমুখ।