ময়মনসিংহ , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
আরও ৪২৯ জন হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের ৬৫ চিকিৎসকের নিয়োগ বাতিল বিদ্যালয়ের মাঠ রক্ষায় রাস্তায় নেমেছে শিক্ষার্থীরা শহীদ জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদ জানান ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম এ মজিদ নির্বাচন ঘিরে পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ধর্ম উপদেষ্টা জামায়াত আমিরের বাসায় গোপালগঞ্জে নির্বিচারে গণগ্রেপ্তার চলছে জানালেন রাশেদ খাঁন প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় স্বৈরাচারের দোসররা বললেন নাহিদ ইসলাম গোপালগঞ্জের ঘটনায় গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মঙ্গলবার জামায়াত আমির খুলনা যাচ্ছেন
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

নুরুল কবির যে কারণে সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানালেন

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৩৩:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক নুরুল কবির এক আলোচনায় বলেছেন, সেনাবাহিনী সাম্প্রতিক সহিংস পরিস্থিতিতে যে ভূমিকা রেখেছে, তা প্রশংসার যোগ্য। তিনি বলেন, “আর্মি সেখানে গিয়ে একটি নেতাকে রক্ষা করেছে, এটা একটি সঠিক পদক্ষেপ। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করতে গেলে ব্যক্তিগত ক্ষোভ বা রাজনৈতিক মতানুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না।”

নুরুল কবির মনে করেন, সেনাবাহিনী এই ঘটনায় কোনো পক্ষপাতমূলক অবস্থান নেয়নি এবং প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ করেছে। তিনি বলেন, “আমি মনে করি, সেনাবাহিনী যথাযথভাবে কাজ করেছে। তাদের এই ভূমিকার জন্য আমি অভিনন্দন জানাই।”

তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনীর কাছে সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেই দায়িত্ব তারা পালন করেছে। তবে একইসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন যে, এই ভূমিকা যথার্থ হলেও তা পর্যাপ্ত ছিল কিনা, সেই প্রশ্নও থেকে যায়।

আলোচনায় নুরুল কবির বর্তমান সরকারকে “নিষ্ক্রিয় এবং বোবা সরকার” বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এই সরকার কী করছে, তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি কী, দর্শন কী – কিছুই আমরা জানি না। তারা কোনো ব্যাখ্যা দেয় না, কোনো দিকনির্দেশনাও দেয় না।”
তিনি সোহাগ হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, সরকার এই ঘটনায় দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, কারণ অভিযুক্তরা একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। অথচ, ঘটনার পরে প্রথম দুইদিন সরকার তেমন সক্রিয়তা দেখায়নি। পরবর্তীতে সামাজিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে একে একে অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হতে শুরু করে।

নির্বাচন ও রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নুরুল কবির বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যদি বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়, তবে সেটা পাঁচ বা দশ বছরও লেগে যেতে পারে। তাহলে কি এই সময় বাংলাদেশ একটি প্রতিনিধিহীন, দায়িত্বহীন সরকার নিয়ে চলবে?”

তিনি বলেন, এনসিপি যদি শাপলা প্রতীক না পায় বলে নির্বাচন বর্জনের হুমকি দেয়, সেটা যুক্তিসঙ্গত নয়। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “যে যুক্তিতে নির্বাচন কমিশন শাপলা প্রতীক বাতিল করেছে, সেই একই যুক্তিতে জামায়াতে ইসলামী যেটা দাড়িপাল্লা প্রতীক ব্যবহার করে – সেটাও বাতিল করা উচিত, কারণ এটি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রতীক।”

নুরুল কবির মনে করেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, তাদের উচিত জামায়াত ইসলামী থেকে দূরে থাকা। তিনি বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সম্প্রসারণ হয়, তাহলে জামায়াতের সঙ্গে হাত মেলানো সেই চেতনাকে লঙ্ঘন করা।”

তিনি বলেন, “যারা গণতন্ত্র চায়, ন্যায়বিচার চায়, তাদের উচিত হবে এমন একটি প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা, যেটা স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।”

 

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আরও ৪২৯ জন হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে

নুরুল কবির যে কারণে সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানালেন

আপডেট সময় ১১:৩৩:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক নুরুল কবির এক আলোচনায় বলেছেন, সেনাবাহিনী সাম্প্রতিক সহিংস পরিস্থিতিতে যে ভূমিকা রেখেছে, তা প্রশংসার যোগ্য। তিনি বলেন, “আর্মি সেখানে গিয়ে একটি নেতাকে রক্ষা করেছে, এটা একটি সঠিক পদক্ষেপ। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করতে গেলে ব্যক্তিগত ক্ষোভ বা রাজনৈতিক মতানুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না।”

নুরুল কবির মনে করেন, সেনাবাহিনী এই ঘটনায় কোনো পক্ষপাতমূলক অবস্থান নেয়নি এবং প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ করেছে। তিনি বলেন, “আমি মনে করি, সেনাবাহিনী যথাযথভাবে কাজ করেছে। তাদের এই ভূমিকার জন্য আমি অভিনন্দন জানাই।”

তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনীর কাছে সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেই দায়িত্ব তারা পালন করেছে। তবে একইসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন যে, এই ভূমিকা যথার্থ হলেও তা পর্যাপ্ত ছিল কিনা, সেই প্রশ্নও থেকে যায়।

আলোচনায় নুরুল কবির বর্তমান সরকারকে “নিষ্ক্রিয় এবং বোবা সরকার” বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এই সরকার কী করছে, তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি কী, দর্শন কী – কিছুই আমরা জানি না। তারা কোনো ব্যাখ্যা দেয় না, কোনো দিকনির্দেশনাও দেয় না।”
তিনি সোহাগ হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, সরকার এই ঘটনায় দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, কারণ অভিযুক্তরা একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। অথচ, ঘটনার পরে প্রথম দুইদিন সরকার তেমন সক্রিয়তা দেখায়নি। পরবর্তীতে সামাজিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে একে একে অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হতে শুরু করে।

নির্বাচন ও রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নুরুল কবির বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যদি বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়, তবে সেটা পাঁচ বা দশ বছরও লেগে যেতে পারে। তাহলে কি এই সময় বাংলাদেশ একটি প্রতিনিধিহীন, দায়িত্বহীন সরকার নিয়ে চলবে?”

তিনি বলেন, এনসিপি যদি শাপলা প্রতীক না পায় বলে নির্বাচন বর্জনের হুমকি দেয়, সেটা যুক্তিসঙ্গত নয়। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “যে যুক্তিতে নির্বাচন কমিশন শাপলা প্রতীক বাতিল করেছে, সেই একই যুক্তিতে জামায়াতে ইসলামী যেটা দাড়িপাল্লা প্রতীক ব্যবহার করে – সেটাও বাতিল করা উচিত, কারণ এটি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রতীক।”

নুরুল কবির মনে করেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, তাদের উচিত জামায়াত ইসলামী থেকে দূরে থাকা। তিনি বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সম্প্রসারণ হয়, তাহলে জামায়াতের সঙ্গে হাত মেলানো সেই চেতনাকে লঙ্ঘন করা।”

তিনি বলেন, “যারা গণতন্ত্র চায়, ন্যায়বিচার চায়, তাদের উচিত হবে এমন একটি প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা, যেটা স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।”