ময়মনসিংহ , শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এখন নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন বললেন ফখরুল বিতর্কিত কর্মকর্তারা যেন নির্বাচনে না থাকতে পারে বললেন মঈন খান একটি দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার সুযোগ খুঁজছে বললেন সালাহউদ্দিন ইতোমধ্যে সাড়ে ৮ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন জানালেন এনবিআর ‘নির্বাচন ঘিরে যেকোনো অপশক্তি মোকাবেলা করতে সক্ষম আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’ হট্টগোলের পর অবশেষে শপথ নিলেন চাকসুর নবনির্বাচিত ছাত্রপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের দিনই গণভোটে অটল বিএনপি বললেন ড. মঈন থাইল্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনা,সুস্থ অবস্থায় দেশে ফিরে বাকৃবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু যুবদল-শিবির সংঘর্ষের দুদিন পর পাল্টাপাল্টি মামলা নোয়াখালীতে সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিরা
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

নুরুল কবির যে কারণে সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানালেন

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৩৩:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
  • ৫২ বার পড়া হয়েছে

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক নুরুল কবির এক আলোচনায় বলেছেন, সেনাবাহিনী সাম্প্রতিক সহিংস পরিস্থিতিতে যে ভূমিকা রেখেছে, তা প্রশংসার যোগ্য। তিনি বলেন, “আর্মি সেখানে গিয়ে একটি নেতাকে রক্ষা করেছে, এটা একটি সঠিক পদক্ষেপ। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করতে গেলে ব্যক্তিগত ক্ষোভ বা রাজনৈতিক মতানুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না।”

নুরুল কবির মনে করেন, সেনাবাহিনী এই ঘটনায় কোনো পক্ষপাতমূলক অবস্থান নেয়নি এবং প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ করেছে। তিনি বলেন, “আমি মনে করি, সেনাবাহিনী যথাযথভাবে কাজ করেছে। তাদের এই ভূমিকার জন্য আমি অভিনন্দন জানাই।”

তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনীর কাছে সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেই দায়িত্ব তারা পালন করেছে। তবে একইসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন যে, এই ভূমিকা যথার্থ হলেও তা পর্যাপ্ত ছিল কিনা, সেই প্রশ্নও থেকে যায়।

আলোচনায় নুরুল কবির বর্তমান সরকারকে “নিষ্ক্রিয় এবং বোবা সরকার” বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এই সরকার কী করছে, তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি কী, দর্শন কী – কিছুই আমরা জানি না। তারা কোনো ব্যাখ্যা দেয় না, কোনো দিকনির্দেশনাও দেয় না।”
তিনি সোহাগ হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, সরকার এই ঘটনায় দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, কারণ অভিযুক্তরা একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। অথচ, ঘটনার পরে প্রথম দুইদিন সরকার তেমন সক্রিয়তা দেখায়নি। পরবর্তীতে সামাজিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে একে একে অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হতে শুরু করে।

নির্বাচন ও রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নুরুল কবির বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যদি বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়, তবে সেটা পাঁচ বা দশ বছরও লেগে যেতে পারে। তাহলে কি এই সময় বাংলাদেশ একটি প্রতিনিধিহীন, দায়িত্বহীন সরকার নিয়ে চলবে?”

তিনি বলেন, এনসিপি যদি শাপলা প্রতীক না পায় বলে নির্বাচন বর্জনের হুমকি দেয়, সেটা যুক্তিসঙ্গত নয়। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “যে যুক্তিতে নির্বাচন কমিশন শাপলা প্রতীক বাতিল করেছে, সেই একই যুক্তিতে জামায়াতে ইসলামী যেটা দাড়িপাল্লা প্রতীক ব্যবহার করে – সেটাও বাতিল করা উচিত, কারণ এটি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রতীক।”

নুরুল কবির মনে করেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, তাদের উচিত জামায়াত ইসলামী থেকে দূরে থাকা। তিনি বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সম্প্রসারণ হয়, তাহলে জামায়াতের সঙ্গে হাত মেলানো সেই চেতনাকে লঙ্ঘন করা।”

তিনি বলেন, “যারা গণতন্ত্র চায়, ন্যায়বিচার চায়, তাদের উচিত হবে এমন একটি প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা, যেটা স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।”

 

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এখন নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন বললেন ফখরুল

নুরুল কবির যে কারণে সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানালেন

আপডেট সময় ১১:৩৩:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক নুরুল কবির এক আলোচনায় বলেছেন, সেনাবাহিনী সাম্প্রতিক সহিংস পরিস্থিতিতে যে ভূমিকা রেখেছে, তা প্রশংসার যোগ্য। তিনি বলেন, “আর্মি সেখানে গিয়ে একটি নেতাকে রক্ষা করেছে, এটা একটি সঠিক পদক্ষেপ। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করতে গেলে ব্যক্তিগত ক্ষোভ বা রাজনৈতিক মতানুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না।”

নুরুল কবির মনে করেন, সেনাবাহিনী এই ঘটনায় কোনো পক্ষপাতমূলক অবস্থান নেয়নি এবং প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ করেছে। তিনি বলেন, “আমি মনে করি, সেনাবাহিনী যথাযথভাবে কাজ করেছে। তাদের এই ভূমিকার জন্য আমি অভিনন্দন জানাই।”

তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনীর কাছে সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেই দায়িত্ব তারা পালন করেছে। তবে একইসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন যে, এই ভূমিকা যথার্থ হলেও তা পর্যাপ্ত ছিল কিনা, সেই প্রশ্নও থেকে যায়।

আলোচনায় নুরুল কবির বর্তমান সরকারকে “নিষ্ক্রিয় এবং বোবা সরকার” বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এই সরকার কী করছে, তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি কী, দর্শন কী – কিছুই আমরা জানি না। তারা কোনো ব্যাখ্যা দেয় না, কোনো দিকনির্দেশনাও দেয় না।”
তিনি সোহাগ হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, সরকার এই ঘটনায় দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, কারণ অভিযুক্তরা একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। অথচ, ঘটনার পরে প্রথম দুইদিন সরকার তেমন সক্রিয়তা দেখায়নি। পরবর্তীতে সামাজিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে একে একে অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হতে শুরু করে।

নির্বাচন ও রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নুরুল কবির বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যদি বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়, তবে সেটা পাঁচ বা দশ বছরও লেগে যেতে পারে। তাহলে কি এই সময় বাংলাদেশ একটি প্রতিনিধিহীন, দায়িত্বহীন সরকার নিয়ে চলবে?”

তিনি বলেন, এনসিপি যদি শাপলা প্রতীক না পায় বলে নির্বাচন বর্জনের হুমকি দেয়, সেটা যুক্তিসঙ্গত নয়। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “যে যুক্তিতে নির্বাচন কমিশন শাপলা প্রতীক বাতিল করেছে, সেই একই যুক্তিতে জামায়াতে ইসলামী যেটা দাড়িপাল্লা প্রতীক ব্যবহার করে – সেটাও বাতিল করা উচিত, কারণ এটি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রতীক।”

নুরুল কবির মনে করেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, তাদের উচিত জামায়াত ইসলামী থেকে দূরে থাকা। তিনি বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সম্প্রসারণ হয়, তাহলে জামায়াতের সঙ্গে হাত মেলানো সেই চেতনাকে লঙ্ঘন করা।”

তিনি বলেন, “যারা গণতন্ত্র চায়, ন্যায়বিচার চায়, তাদের উচিত হবে এমন একটি প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা, যেটা স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।”