বিজেপি নেতা হিসেবে রাজনীতির মাঠে বেশ উঠেপরেই নেমেছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এরমধ্যে ভোটের মঞ্চে মাঝেমধ্যেই তার বিভিন্ন মন্তব্য আলোচনার জন্ম দিচ্ছে।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি পশ্চিম বাংলার আরামবাগে একটি রাজনৈতিক সভায় গিয়ে ফের গরম মন্তব্য করেছেন এ অভিনেতা। তিনি বলেছেন, ‘মার খেয়ে বাড়ি ফিরবেন না। পালটা মার দিন। পারলে মারবেন।’
মঞ্চে দাঁড়িয়ে একের পর এক তোপ দেগে মিঠুন বলেন, এই সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত, রাজ্যে নারীদের কোনো সুরক্ষা নেই। ভোটার তালিকায় ভুয়া নাম ঢুকিয়ে গণতন্ত্রকে লুট করছে তৃণমূল।
এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিজেপি কার্যত রাজ্যে এনআরসি এবং ভোটার যাচাই ঘিরে নতুন বার্তা দিতে চাইল বলেই রাজনৈতিক মহলের মত।
তবে পালটা ঘুঁটি সাজিয়ে তৃণমূল সংসদ সদস্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মিঠুন চক্রবর্তীকে আমি অভিনেতা হিসেবে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু রাজনীতিতে তিনি একজন জোকার। বাংলার মাটির সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তৃণমূলের টিকিটে একবার রাজ্যসভার সদস্য হয়েছিলেন, পরে ইডি-সিবিআইয়ের ভয়ে পদ ছেড়ে পালিয়েছেন।’
ভোটের মুখে আবারও রাজনৈতিক হিংসা, নিরাপত্তা, নাগরিকত্ব ও ভুয়া ভোটার ইস্যুকে সামনে এনে বিজেপি তাদের পুরোনো আক্রমণাত্মক ছন্দে। আর সেই সুরেই হুংকার দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারকা প্রভাব কাজে লাগিয়ে রাজ্যজুড়ে জনসংযোগ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে বিজেপি। মিঠুনের মুখে এবার যে সরাসরি সংঘর্ষের ভাষা উঠে এল, তা রাজ্যের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী আবহে কাঁপন ধরাতে যথেষ্ট।