এদিন রাতে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল থেকে কয়েক দফায় শিক্ষক শাহিন সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় গত ৭ আগস্ট ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে ওই শিক্ষক পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার বিকেলে র্যাব-১২ ও র্যাব-১১-এর যৌথ দল নোয়াখালী জেলার সুধারাম উপজেলার হাউজিং সেন্টার রোডসংলগ্ন সুরমা ভবনের সামনে অভিযান চালিয়ে শাহিনকে গ্রেপ্তার করে।
এছাড়া ক্যাডেট কোচিংয়ে ভর্তির প্রলোভন দিয়ে ভুল বুঝিয়ে মুঠোফোনে নুড ভিডিও সংগ্রহ করে রাখতো শাহিন। পরে বিষয়টি পরিবারকে জানালে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানকে জানায় তারা। এতে শাহিন ক্ষিপ্ত হয়ে তার সংগ্রহে থাকা ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও কয়েক দফায় নিজ ও বিভিন্ন আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
এ বিষয়ে কোম্পানি কমান্ডার সুদীপ্ত সরকার বলেন, এমন কুরুচিপূর্ণ ও হঠকারী কাজ করে শিক্ষক ও ছাত্রের মহান সম্পর্ককে হেয় করেছে শাহিন। নোয়াখালী থেকে র্যাব-১১-এর সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিকে কুষ্টিয়ায় মডেল থানায় সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।