রোববার (১৭ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির কথা ছিল। তবে আসামিপক্ষের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন দিন নির্ধারণ করা হয়।
এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত ও জামিন চেয়ে সাবেক বিচারপতি খায়রুল হক ৭ আগস্ট আবেদনটি করেন।
এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। একপর্যায়ে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এরপর আদালত শুনানির জন্য ১৭ আগস্ট দিন রাখেন।
আদালতে ওইদিন খায়রুল হকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, সাবেক বিচারপতি মনসুরুল হক চৌধুরী, সিনিয়র অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ, অ্যাডভোকেট শেখ আওসাফুর রহমান বুলু, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোহসীন রশিদ, অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু ও অ্যাডভোকেট এবিএম সিদ্দিকুর রহমানসহ আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা ছিলেন।
আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাসেল আহম্মেদ ও মো.এমরান খান রবিন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল উজ্জ্বল হোসেন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জসিম উদ্দিন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শাফওয়ান করিম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইব্রাহিম খলিল।
চব্বিশের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আলাউদ্দিন গত ৬ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় খায়রুল হককেও আসামি করা হয়।
গত ২৪ জুলাই সকালে ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওইদিন রাতে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২৯ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে বেআইনি রায় দেওয়ার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় করা মামলায় খায়রুল হককে ভার্চুয়ালি গ্রেফতার দেখানো হয়। বিচারক হিসেবে দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলকভাবে বেআইনি রায় দেওয়াসহ জাল রায় তৈরির অভিযোগে শাহবাগ থানার মামলায় আদালত তাকে সাতদিনের রিমান্ডে পাঠান।