ময়মনসিংহ , রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

এক মাসে ৩ লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল চা দোকানির

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:২৫:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

বাগেরহাটের ফকিরহাটে এক চা দোকানির নামে এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে অবিশ্বাস্য ৩ লাখ ১ হাজার ৭৪৬ টাকা। এ ঘটনায় হতবাক হয়ে পড়েছেন দোকানি ও তার পরিবার। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি বিলিং সহকারীর ভুল, যা সংশোধন করা হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার লখপুর বাজারে ছোট্ট এক কক্ষের দোকান চালান অপূর্ব কুন্ডু। বাবা মারা যাওয়ার পর মা তপতী রানী কুন্ডুর সঙ্গে দোকানটি তিনি পরিচালনা করছেন। দোকানে রয়েছে মাত্র দুটি বাল্ব, একটি ফ্যান ও একটি ফ্রিজ। সাধারণত মাসে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকার মতো বিল আসলেও হঠাৎ এত বিপুল অঙ্কের বিল হাতে পেয়ে হতবাক হয়ে যান তারা।

অপূর্ব কুন্ডু বলেন, ‘এর আগের মাসেও বিল এসেছিল ১ হাজার ৮৭৬ টাকা। পরে অফিসে গিয়ে সংশোধন করে ৩১৬ টাকা করা হয়। এবার আবারো বিল হাতে পেয়ে দেখি ৩ লাখ টাকার বেশি। পরিবারের সবাই হতভম্ব হয়ে যাই।’

এমন ভুতুরে বিল শুধু তার নয়, লখপুর এলাকার আরও অনেক গ্রাহকের ক্ষেত্রেও ঘটছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রাহকদের অভিযোগ: মিটার রিডিং না দেখে বিল তৈরি এবং পল্লী বিদ্যুতের অবহেলাতেই এ ভোগান্তি।
 
বাগেরহাট ফকিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আনন্দ কুমার কুন্ডু বলেন, ‘বিলিং সহকারীর ভুলে এই ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে ওই সহকারীকে শোকজ করা হয়েছে। সংশোধন করে প্রকৃত বিল ৩১০ টাকা করে দেয়া হয়েছে।’
 
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বাগেরহাট সদর উপজেলার বৈটপুর গ্রামের এক চা দোকানির নামে ১৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকার বিল করা হয়েছিল, যার প্রকৃত বিল ছিল মাত্র ১৬২ টাকা।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

এক মাসে ৩ লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল চা দোকানির

আপডেট সময় ০২:২৫:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

বাগেরহাটের ফকিরহাটে এক চা দোকানির নামে এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে অবিশ্বাস্য ৩ লাখ ১ হাজার ৭৪৬ টাকা। এ ঘটনায় হতবাক হয়ে পড়েছেন দোকানি ও তার পরিবার। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি বিলিং সহকারীর ভুল, যা সংশোধন করা হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার লখপুর বাজারে ছোট্ট এক কক্ষের দোকান চালান অপূর্ব কুন্ডু। বাবা মারা যাওয়ার পর মা তপতী রানী কুন্ডুর সঙ্গে দোকানটি তিনি পরিচালনা করছেন। দোকানে রয়েছে মাত্র দুটি বাল্ব, একটি ফ্যান ও একটি ফ্রিজ। সাধারণত মাসে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকার মতো বিল আসলেও হঠাৎ এত বিপুল অঙ্কের বিল হাতে পেয়ে হতবাক হয়ে যান তারা।

অপূর্ব কুন্ডু বলেন, ‘এর আগের মাসেও বিল এসেছিল ১ হাজার ৮৭৬ টাকা। পরে অফিসে গিয়ে সংশোধন করে ৩১৬ টাকা করা হয়। এবার আবারো বিল হাতে পেয়ে দেখি ৩ লাখ টাকার বেশি। পরিবারের সবাই হতভম্ব হয়ে যাই।’

এমন ভুতুরে বিল শুধু তার নয়, লখপুর এলাকার আরও অনেক গ্রাহকের ক্ষেত্রেও ঘটছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রাহকদের অভিযোগ: মিটার রিডিং না দেখে বিল তৈরি এবং পল্লী বিদ্যুতের অবহেলাতেই এ ভোগান্তি।
 
বাগেরহাট ফকিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আনন্দ কুমার কুন্ডু বলেন, ‘বিলিং সহকারীর ভুলে এই ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে ওই সহকারীকে শোকজ করা হয়েছে। সংশোধন করে প্রকৃত বিল ৩১০ টাকা করে দেয়া হয়েছে।’
 
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বাগেরহাট সদর উপজেলার বৈটপুর গ্রামের এক চা দোকানির নামে ১৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকার বিল করা হয়েছিল, যার প্রকৃত বিল ছিল মাত্র ১৬২ টাকা।