মাটিওমানুষ ডেস্ক-বগুড়ায় গতকাল বুধবার সন্ধ্যা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি ৬৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এখন যমুনায় বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ।বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় যমুনা নদীর পানির বিপদসীমা ১৬ দশমিক ২৫ মিটার এ রয়েছে ।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পানির উচ্চতা ছিল ১৫ দশমিক ৬৯ মিটার ছিল। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত তা ৬৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে এখন পানির উচ্চতা ১৬ দশমিক ৩৬ মিটারে দাঁড়িয়েছে। অর্থ্যাৎ বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বলে দেখা যাচেছ।পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, পানি বৃদ্ধির কারণে সারিয়াকান্দির চরগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।এবং সাধারণ জনগন ভোগান্তিতে রয়েছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলার কর্নিবাড়ি, কামালপুর, হাটশেরপুর, ফুলবাড়ি ও চালুয়াবাড়ি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের নিচু জায়গা তলিয়ে গেছে।তিনি আরো জানান, পানি বৃদ্ধি পেলেও ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে এখনও কোনো ঝুঁকি দেখা যায়নি যমুনার ছয়টি পয়েন্টে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে ইছামারা অংশে ভাঙন প্রবলভাবে।
যমুনার পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপরে
সেখানে নদী থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দূরত্ব মাত্র ৩০০ মিটার। গত বছর সেখানে এক হাজার ৭০০ মিটার ভেঙে ছিল। ঝুঁকিপূর্ণ ওই এলাকা রক্ষায় কাজ করা হচেছ বলে জানা গেছে।বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম ইতিমধ্যে সারিয়াকান্দী, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘুরে দেখেছেন। জনগণের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।এতে সাধারণ জনগনের একটু হলেও ভোগান্তি কমবে।আগে থেকে স্বাস্থ্য সম্পকীয় সকল ঝুঁকি গুলো ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।