রংধনু গ্রুপের মালিক রফিকুল ইসলামের বিলাসবহুল হোটেলসহ ৩৩ কোটি টাকা ক্রোক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচারের অভিযোগে রংধনু গ্রুপের মালিক রফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটে দায়ের হওয়া মানি লন্ডারিং মামলায় অগ্রগতি হয়েছে।
জসীম উদ্দিন খান বলেন, রফিকুল ইসলাম ‘রংধনু বিল্ডার্স’র নামে ইসলামী ব্যাংক বারিধারা শাখা থেকে ৪০০ কোটি টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক বসুন্ধরা শাখা থেকে ২৭০ কোটি টাকা, ইউনিয়ন ব্যাংক গুলশান শাখা থেকে ২০০ কোটি টাকা এবং আরও কয়েকটি ব্যাংক থেকে বিপুল ঋণ নেন। কিন্তু প্রতারণার মাধ্যমে নেওয়া এসব ঋণের টাকা পরিশোধ না করে বিদেশে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন এবং অর্থ বিনিয়োগ করেন তিনি।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা বনানীর ১৭ নম্বর রোডে ৬ শতাংশ ২ ছটাক জমির ওপর নির্মিত ৯ তলা ভবন— ‘হোটেল ইউনিক রিজেন্সি’ এবং সমবায় ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের কাছে জামানত রাখা প্রায় ৩৩ কোটি ৮১ লাখ টাকার সম্পদের সন্ধান পান। পরে আদালতের নির্দেশে সিআইডি ওই হোটেল ক্রোক করে এবং অর্থ ফ্রিজ করে।
সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট জানিয়েছে, মামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে। বিদেশে পাচার করা অর্থের উৎস, জড়িত অন্য ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ ও গ্রেফতারের লক্ষ্যে তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত বলেও জানান বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান।