ময়মনসিংহ , শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

বসুন্ধরা টিস্যু কারখানায় আগুন

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৩২:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন বসুন্ধরা টিস্যু পেপার মিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অর্ধকোটি টাকার সম্পদ পুড়ে গেছে। এই বিপুল ক্ষতি ছাড়াও কারখানার স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতের এ আগুন গজারিয়া, সোনারগাঁও ও দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনও কারখানাটিতে পোড়া গন্ধ আর ছাই উড়ছে। তবে আগুনের কারণ উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। বিশেষজ্ঞ দল এই নিয়ে কাজ করছে।


ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাত পৌনে ১২টার দিকে মিলের ইউনিট-৩ এ আগুন দেখতে পায় প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা। প্রথমে কোম্পানির নিজস্ব কর্মীরা অগ্নি নির্বাপণের চেষ্টা চালায়। তারা ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।

গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘রাত ১২টার পর আমরা খবর পাই। খবর পাওয়ার পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট অগ্নি নির্বাপণের কাজ শুরু করি। পরবর্তীতে সোনারগাঁও ও দাউদকান্দি এলাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের আরও দুটি ইউনিট অগ্নি নির্বাপণে যোগ দেয়। চারটি ইউনিট দীর্ঘ চেষ্টার পর রাত ২টার দিকে সম্পূর্ণভাবে অগ্নি নির্বাপণ কাজ শেষ হয়।’

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সাড়ে ১১টার পর প্রতিষ্ঠানটির ৩ নম্বর ইউনিট সংলগ্ন গ্যারেজে আগুন দেখতে পাই, পরবর্তীতে সেটা ইউনিট-৩ তে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠানটির এই অংশে বিভিন্ন ধরনের ডায়াপার তৈরি করা হয়। প্রথমে কোম্পানির নিজস্ব কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মুকুল হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত আগুন জ্বলতে দেখি আমরা। এ ঘটনায় আমাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। আবার অনেকে ভয়ে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে।’

ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওই স্থানটিতে তখন বিদ্যুৎ ছিল না। আর যেখানে আগুন লেগেছে সেখানে ধূমপান ও কয়েল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হলো তা আমরা খতিয়ে দেখছি। ক্ষতির পরিমাণ ৫০ লাখ টাকার বেশি তা প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ জানান, বড় ধরনের এ আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয় ফায়ার সার্ভিসকে। জানমাল রক্ষায় পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বসুন্ধরা টিস্যু কারখানায় আগুন

আপডেট সময় ০৯:৩২:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন বসুন্ধরা টিস্যু পেপার মিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অর্ধকোটি টাকার সম্পদ পুড়ে গেছে। এই বিপুল ক্ষতি ছাড়াও কারখানার স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতের এ আগুন গজারিয়া, সোনারগাঁও ও দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনও কারখানাটিতে পোড়া গন্ধ আর ছাই উড়ছে। তবে আগুনের কারণ উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। বিশেষজ্ঞ দল এই নিয়ে কাজ করছে।


ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাত পৌনে ১২টার দিকে মিলের ইউনিট-৩ এ আগুন দেখতে পায় প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা। প্রথমে কোম্পানির নিজস্ব কর্মীরা অগ্নি নির্বাপণের চেষ্টা চালায়। তারা ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।

গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মো. ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘রাত ১২টার পর আমরা খবর পাই। খবর পাওয়ার পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট অগ্নি নির্বাপণের কাজ শুরু করি। পরবর্তীতে সোনারগাঁও ও দাউদকান্দি এলাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের আরও দুটি ইউনিট অগ্নি নির্বাপণে যোগ দেয়। চারটি ইউনিট দীর্ঘ চেষ্টার পর রাত ২টার দিকে সম্পূর্ণভাবে অগ্নি নির্বাপণ কাজ শেষ হয়।’

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সাড়ে ১১টার পর প্রতিষ্ঠানটির ৩ নম্বর ইউনিট সংলগ্ন গ্যারেজে আগুন দেখতে পাই, পরবর্তীতে সেটা ইউনিট-৩ তে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠানটির এই অংশে বিভিন্ন ধরনের ডায়াপার তৈরি করা হয়। প্রথমে কোম্পানির নিজস্ব কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মুকুল হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত আগুন জ্বলতে দেখি আমরা। এ ঘটনায় আমাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। আবার অনেকে ভয়ে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে।’

ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওই স্থানটিতে তখন বিদ্যুৎ ছিল না। আর যেখানে আগুন লেগেছে সেখানে ধূমপান ও কয়েল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হলো তা আমরা খতিয়ে দেখছি। ক্ষতির পরিমাণ ৫০ লাখ টাকার বেশি তা প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ জানান, বড় ধরনের এ আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয় ফায়ার সার্ভিসকে। জানমাল রক্ষায় পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।