পরাজয় স্বীকার করে সঠিক যুক্তিতে কথা বলা উচিত বলে মনে করেন রুমিন ফারহানা। দলের অযৌক্তিক বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার কাছে যেটা মনে হয় যারা পরাজিত হয়েছে তারা ডিনায়েলের মধ্যে না থেকে কিংবা অস্বীকারের সংস্কৃতি মধ্যে না থেকে বা ‘আওয়ামী লীগের ভোট জামায়াতে চলে গেছে’- এগুলো কথা বলা দলকে আরও বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলা। ধরুন ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী পেয়েছে ৫ হাজার বা ৬ হাজার ভোট। আর শিবিরের প্রার্থী পেয়েছে ১৪ হাজার ভোট।
রাজনীতির আমুল পরিবর্তন হচ্ছে জানিয়ে রুমিন বলেন, ‘আমি যদি আরেকটু ব্রডার পার্সপেক্টিভে বিষয়টি আলোচনা করি আমাদের রাজনীতির ধরণ কিন্তু পাল্টে গেছে।আপনি যদি নেপালের দিকে তাকান, আপনি যদি কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কায় যেটা ঘটে গেল সেদিকে তাকান।
উদাহরণ দিয়ে রুমিন বলেন, ‘ফর এক্সাম্পল, আমরা একসময় বয়ানের রাজনীতি বা আইডেন্টিটি পলিটিক্স এর জয়জয়কার দেখেছি। ধরুন বাঙালি জাতীয়তাবাদের আইডেন্টিটি কিংবা ধর্মভিত্তিক আইডেন্টিটি কিংবা ভাষাভিত্তিক আইডেন্টিটি।
ভারতের দিকে যদি আপনি তাকান উগ্র ধর্মভিত্তিক যে রাজনীতি তারা করে যাচ্ছে তাতে প্রতিদিন তাদেরকে আরেকটু উগ্র, আরো বেশি হিন্দু প্রমাণ করতে গিয়ে হ্যান কোনো কুকর্ম নাই যেটার আশ্রয় তাদেরকে নিতে হচ্ছে না। অন দি আদার হ্যান্ড, আপনি যদি দিল্লিতে আম আদমী পার্টির পলিটিক্সটার দিকে তাকান তারা কিন্তু কল্যাণ ভিত্তিক রাজনীতি করছে। জনগণের কল্যাণ ভিত্তিক রাজনীতি বা ওয়েলফেয়ার পলিটিক্স-এর দিকে মন দিচ্ছে।’
রাজনীতি করতে হলে আগামীতে জনগণের কল্যানে নিয়োজিত থাকতে হবে উল্লেখ করে রুমিন বলেন, ‘আমাদের উপমহাদেশ ভারত পাকিস্তান নেপাল আপনি এই দেশগুলোতে যদি দেখেন এবং আরও সংক্ষিপ্ত করে আলোচনা এনে যদি বাংলাদেশের দিকে তাকান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষের রাজনীতি, বয়ানের পক্ষ-বিপক্ষের রাজনীতি, বাঙালি না বাংলাদেশি এই তত্ত্বের রাজনীতি, ধর্ম মুসলমান ভিত্তিক রাজনীতি হবে মানে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি হবে এই সবকিছু ছাপিয়ে আপনাকে যদি রাজনীতিতে টিকে থাকতে হয় এবং লম্বা রেসের ঘোড়া হয়ে টিকে থাকতে ভাই আপনাকে ওয়েলফেয়ার পলিটিক্সের বাইরে গিয়ে আপনার আর দ্বিতীয় কোনো কিছু ভাববার কোনো অবকাশ নেই।’