কিশোরগঞ্জে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচির সুবিধাভোগী নির্বাচনে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান–মেম্বারদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগকারীদের দাবি, প্রকৃত হতদরিদ্র, কর্মক্ষমতাহীন, বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত নারীর পরিবর্তে স্বচ্ছল, চাকরিজীবী ও ধনাঢ্য পরিবারের নারীদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তালিকা বাতিলের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে।
তালিকায় দেখা যায়, হতদরিদ্রের বদলে ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, ইউপি সদস্যদের বিত্তবান আত্মীয়স্বজন, প্রবাসী পরিবারের নারী, পাকাবাড়ির মালিক এবং সরকারি–বেসরকারি চাকরিজীবী পরিবারের নারী অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
অভিযোগকারী উত্তর চাঁদখানা গ্রামের রাকিব শাহ বলেন, ‘তালিকাভুক্ত অর্ধেকের বেশি সুবিধাভোগী আসলে স্বচ্ছল। তাদের প্রত্যেকে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা দিয়ে তালিকাভুক্ত হয়েছে। বিষয়টি মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে জানালেও তিনি ব্যবস্থা নেননি।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নূরুন্নাহার শাহজাদী বলেন, ‘যাচাই–বাছাই ছাড়া তালিকা অনুমোদনের প্রশ্নই ওঠে না। হয়তো মাঠপর্যায়ে গিয়ে সবাইকে যাচাই করা সম্ভব হয়নি, এজন্য ভুল–ত্রুটি থাকতে পারে। তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, তাদের কার্ড আটকে রাখা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান ফোরামের সভাপতি ও বড়ভিটা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলার রহমান বলেন, ‘এককভাবে চেয়ারম্যান–মেম্বাররা সিদ্ধান্ত নেননি। ইউনিয়ন পর্যায়ে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, কৃষি ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ ২৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির মতামতের ভিত্তিতেই তালিকা তৈরি হয়েছে।’
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামানের বক্তব্য জানতে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।