মেট্রোরেলের চলাচলের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হচ্ছে। এ সময়সূচিতে সকালে আধঘণ্টা আগে এবং রাতে আধঘণ্টা বেশি সময় চলবে মেট্রোরেল। আগামী রোববার (১৯ অক্টোবর) থেকে নতুন এ সময়সূচি কার্যকর হবে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, আগামী মাসের মাঝামাঝিতেই বাড়বে মেট্রোরেলের ট্রিপ সংখ্যা। ট্রিপ বাড়লে দুই ট্রেনের মধ্যে বিরতি অন্তত দুই মিনিট কমে যাবে।
বর্তমানে মেট্রোরেলে দৈনিক গড়ে সাড়ে চার লাখ যাত্রী চলাচল করেন। নতুন সূচি কার্যকর হলে যাত্রীসংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে ডিএমটিসিএল।
শুক্রবার বর্তমানে বেলা ৩টায় মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়, নতুন সূচিতে তা শুরু হবে বেলা আড়াইটায়। শুক্রবার রাতেও চলাচলের সময় আধঘণ্টা বাড়বে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে সেবা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এজন্য পর্যাপ্ত পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। আগামী রোববার থেকে দিনে এক ঘণ্টা বাড়তি সময় মেট্রোরেল চালানোর পরিকল্পনা আছে। ট্রিপ বাড়াতে আরও কিছুদিন পরীক্ষামূলক চলাচল করতে হবে। আশা করছি, নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ট্রিপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
বর্তমানে ১২ সেট ট্রেন সার্বক্ষণিক যাত্রী নিয়ে চলাচল করে। নতুন সময় ও ট্রিপ বাড়লে তা বাড়িয়ে ১৯ সেট করা হবে।
এখন ব্যস্ত সময়ে (পিক আওয়ার) ট্রেন আসে প্রতি ছয় মিনিট পরপর। কম ব্যস্ত সময়ে (অফ পিক আওয়ার) বিরতি ৮ মিনিট এবং খুব কম ব্যস্ত সময়ে (সুপার অফ পিক আওয়ার) ১০ মিনিট। আগামী মাসে এ ব্যবধান যথাক্রমে ৪, ৬ ও ৮ মিনিটে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
বর্তমানে মেট্রোরেল দিনে ২৩৮টি ট্রিপ সম্পন্ন করে। সময়ের ব্যবধান কমে গেলে ট্রিপ সংখ্যা আরও বাড়বে, ফলে যাত্রীদের অপেক্ষার সময়ও কমবে।
২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হয়। পরে ধাপে ধাপে মতিঝিল পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। বর্তমানে কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ চলছে।
মেট্রোরেলের নিয়মিত যাত্রী ট্রাভেল এজেন্সি কর্মকর্তা আরশাদুল হক বলেন, ‘যানজটে ভরা ঢাকায় মেট্রোরেল এখন সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পরিবহন। তাই এর সময় ও ট্রিপ বাড়ানো হলে তা নিঃসন্দেহে যাত্রীদের জন্য বড় সুবিধা হবে।’