ময়মনসিংহ , শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এখন নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন বললেন ফখরুল বিতর্কিত কর্মকর্তারা যেন নির্বাচনে না থাকতে পারে বললেন মঈন খান একটি দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার সুযোগ খুঁজছে বললেন সালাহউদ্দিন ইতোমধ্যে সাড়ে ৮ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন জানালেন এনবিআর ‘নির্বাচন ঘিরে যেকোনো অপশক্তি মোকাবেলা করতে সক্ষম আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’ হট্টগোলের পর অবশেষে শপথ নিলেন চাকসুর নবনির্বাচিত ছাত্রপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের দিনই গণভোটে অটল বিএনপি বললেন ড. মঈন থাইল্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনা,সুস্থ অবস্থায় দেশে ফিরে বাকৃবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু যুবদল-শিবির সংঘর্ষের দুদিন পর পাল্টাপাল্টি মামলা নোয়াখালীতে সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিরা
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

জেলার পর এবার মহানগর যুবদলের সভাপতি-সম্পাদককে শোকজ ফরিদপুর

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ফরিদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি ও সম্পাদককে শোকজের একদিন পর এবার মহানগর যুবদলের সভাপতি এম এম ইউসুফ ও সাধারণ সম্পাদক আলী রেজোয়ান বিশ্বাসকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি।

গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নোটিশ দেওয়া হয় তাদের।

চিঠিতে আরও বলা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী কর্মকাণ্ডের জন্য আপনাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়নের সম্মুখে দাঁড়িয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।

এসব অভিযোগের বিষয়ে এদিন দুপুরে এ কে আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, সংবাদ সম্মেলনে তিনি (নায়াব ইউসুফ) মিথ্যাচার করেছেন। মূলত আমার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে তিনি এসব করছেন। আমি কোনো রকম প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না এটা ফরিদপুরবাসী ভালো করেই জানেন।

ফরিদপুর মহানগর যুবদলের সভাপতি এম এম ইউসুফ বলেন, আমাদের নামে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে কিনা, তা আমি জানি না। তবে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন, আগামীকাল বিকেল ৪টার মধ্যে ঢাকায় যুবদলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করতে হবে।

প্রসঙ্গত, রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ কে আজাদ ফরিদপুর সদরের পরমান্দপুর বাজারে গণসংযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নান্নু মোল্লার নেতৃত্বে একটি মিছিল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। মিছিলকারীরা একে আজাদকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন এবং ‘অ্যাকশন, অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ বলে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন। মিছিলে অংশগ্রহণকারী একজনের কাছে কেন্দ্রীয় মহিলাদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী নায়াব ইউসুফের পোস্টারও দেখা যায়। একপর্যায়ে যুবদলের ওই নেতারা বহরের শেষের দুটি গাড়িতে আখ ছুড়ে মারে ও কাচ ভাঙচুর করে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এখন নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন বললেন ফখরুল

জেলার পর এবার মহানগর যুবদলের সভাপতি-সম্পাদককে শোকজ ফরিদপুর

আপডেট সময় ১১:০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ফরিদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি ও সম্পাদককে শোকজের একদিন পর এবার মহানগর যুবদলের সভাপতি এম এম ইউসুফ ও সাধারণ সম্পাদক আলী রেজোয়ান বিশ্বাসকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি।

গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নোটিশ দেওয়া হয় তাদের।

চিঠিতে আরও বলা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী কর্মকাণ্ডের জন্য আপনাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়নের সম্মুখে দাঁড়িয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।

এসব অভিযোগের বিষয়ে এদিন দুপুরে এ কে আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, সংবাদ সম্মেলনে তিনি (নায়াব ইউসুফ) মিথ্যাচার করেছেন। মূলত আমার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে তিনি এসব করছেন। আমি কোনো রকম প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না এটা ফরিদপুরবাসী ভালো করেই জানেন।

ফরিদপুর মহানগর যুবদলের সভাপতি এম এম ইউসুফ বলেন, আমাদের নামে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে কিনা, তা আমি জানি না। তবে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন, আগামীকাল বিকেল ৪টার মধ্যে ঢাকায় যুবদলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করতে হবে।

প্রসঙ্গত, রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ কে আজাদ ফরিদপুর সদরের পরমান্দপুর বাজারে গণসংযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নান্নু মোল্লার নেতৃত্বে একটি মিছিল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। মিছিলকারীরা একে আজাদকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন এবং ‘অ্যাকশন, অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ বলে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন। মিছিলে অংশগ্রহণকারী একজনের কাছে কেন্দ্রীয় মহিলাদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী নায়াব ইউসুফের পোস্টারও দেখা যায়। একপর্যায়ে যুবদলের ওই নেতারা বহরের শেষের দুটি গাড়িতে আখ ছুড়ে মারে ও কাচ ভাঙচুর করে।