মার্কিন সরকারের কার্যক্রম স্থবির বা ‘শাটডাউন’ থাকায় সেনাদের বেতন পরিশোধে সহায়তা করার জন্য এক অজ্ঞাত দাতা পেন্টাগনকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড) অনুদান দিয়েছেন, যা প্রায় ১৩ লাখ ২০ হাজার সেনাসদস্যের বেতন ঘাটতি পূরণে সাহায্য করবে বলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে এই অনুদান ঘিরে সমালোচকেরা নৈতিকতার প্রশ্ন তুলেছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শনিবার (২৫ অক্টোবর) দাতার পরিচয় সম্পর্কে সামান্য ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘তিনি আমার বড় সমর্থক’ এবং তিনি একজন মার্কিন নাগরিক, ‘দেশপ্রেমিক’ ও ‘অসাধারণ মানুষ,’ যিনি ‘জনপ্রচার চান না’ এবং ‘স্বীকৃতি চান না।’
শুক্রবার পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুধু সেনাসদস্যদের বেতন ও ভাতার ব্যয় মেটাতে ব্যবহার করা যাবে, এই শর্তসাপেক্ষে অনুদান দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, প্রতিরক্ষা দপ্তরের সাধারণ উপহার গ্রহণ নীতির আওতায় এই অর্থ গ্রহণ অনুমোদিত হয়েছে।
প্রতিরক্ষা দপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী, ১০ হাজার ডলারের বেশি দানের ক্ষেত্রে নৈতিকতা কর্মকর্তাদের পর্যালোচনা প্রয়োজন, যেখানে দাতা কোনো প্রতিরক্ষা-সম্পর্কিত বিষয়ে যুক্ত আছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়। এই দান খুবই বিরল হলেও, পেন্টাগন কখনো কখনো নির্দিষ্ট প্রকল্প যেমন- স্কুল বা হাসপাতাল নির্মাণের জন্য অনুদান গ্রহণ করে।
সমালোচকেরা, বিশেষত সেনেটের প্রতিরক্ষা বরাদ্দ কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সদস্য ডেলাওয়্যার অঙ্গরাজ্যের সিনেটর ক্রিস কুনস, প্রশ্ন তুলেছেন যে কেন মার্কিন সামরিক বাহিনী অজ্ঞাত দাতার অর্থ গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, ‘অজ্ঞাত দাতার অর্থ দিয়ে আমাদের সেনাবাহিনী পরিচালনা করা উদ্বেগজনক। এতে প্রশ্ন ওঠে, আমাদের সৈন্যরা কি বিদেশি শক্তির হাতে কেনা হয়ে যাচ্ছে?’

ডিজিটাল ডেস্ক 

























