সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাবনা বাতিলের বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
পোস্টে বলা হয়, সচিব কমিটি মনে করেছে প্রকল্পটির পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল। এত অল্প সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ দিলে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বাস্তব কোনো সুফল আসবে না; বরং এতে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরি হবে। বর্তমানে দেশে রয়েছে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর বিপরীতে সীমিত পরিসরে ক্লাস্টারভিত্তিক নিয়োগ দিলে একজন শিক্ষককে ২০টিরও বেশি বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে, যা বাস্তবে সম্ভব নয়।
সরকার আরও জানিয়েছে, পর্যাপ্ত অর্থের সংস্থান হলে ভবিষ্যতে প্রতিটি বিদ্যালয়ে পৃথকভাবে সঙ্গীত ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ সৃষ্টির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে।
পোস্টে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ও শিক্ষার সার্বিক মানোন্নয়নে সহপাঠ কার্যক্রমের গুরুত্ব সম্পর্কে সরকার সম্পূর্ণ সচেতন। তবে নতুন কোনো পদ সৃষ্টি ও নিয়োগ কার্যক্রম বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতা বিবেচনা করেই গ্রহণ করা হবে।

অনলাইন ডেস্ক 




















