ময়মনসিংহ , রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ধনী দেশগুলো ব্যর্থ প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে বললেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা আশুলিয়ায় গণঅভ্যুত্থানে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া এক মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হামজা চৌধুরী ফুটবলার থেকে ফটোগ্রাফার বনে গেলেন ৭ জনের আয়কর নথি জব্দের আদেশ সাবেক বিচারপতি মানিকসহ নির্দিষ্ট দলকে খুশি করতে ‘গোপন শলাপরামর্শে’ প্রশাসনে নিয়োগ, বদলি বললেন গোলাম পরওয়ার আদালতে লতিফ সিদ্দিকী ভাই কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে ভোটের নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে রাজনৈতিক দলের সহায়তা প্রয়োজন বললেন সিইসি শেখ হাসিনার রায় ঘিরে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে বললেন মির্জা ফখরুল সোমবার হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের রায় , সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি পাথরঘাটায় ধরা পড়লো বিপন্ন প্রজাতির কালো বাইন পাথরঘাটায় , বিক্রি হলো আড়াই লাখ টাকায়
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

ইহুদিদের উৎসব:ইসরায়েল ফিলিস্তিনের ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করলো , কারফিউ জারি

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৩৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী হেবরনের পুরোনো শহরে ফিলিস্তিনিদের ওপর কারফিউ জারি রেখে ইব্রাহিমি মসজিদ মুসলিমদের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে, যাতে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা ইহুদি ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কর্মীরা।

বেসরকারি হেবরন ডিফেন্স কমিটির সদস্য এবং এলাকার বাসিন্দা আরেফ জাবের বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে জানান, শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকাল থেকে পুরোনো শহরের বিভিন্ন মহল্লায় কারফিউ কার্যকর রয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী পুরোনো শহরে যাওয়ার সামরিক চেকপয়েন্টগুলো বন্ধ করে দিয়ে প্রবেশ ও বেরোনো পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেছে। এতে অনেক ফিলিস্তিনি বাড়িতে ফিরতে না পেরে হেবরনের অন্যত্র আত্মীয়দের বাসায় রাত কাটাতে বাধ্য হন।

জাবের বলেন, শুক্রবার রাত এবং শনিবার সকাল—দুই সময়েই শত শত অবৈধ বসতি স্থাপনকারী পুরোনো শহরে ঢুকে ভারী সৈন্য-প্রহরায় ‘উসকানিমূলক’ শোভাযাত্রা করে। তার মতে, এই কারফিউ ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের ইব্রাহিমি মসজিদের বাকি অংশ দখল করে সেটিকে উপাসনালয়ে (সিনাগগে) রূপান্তর করার প্রচেষ্টারই অংশ।

বসতি স্থাপনকারীদের এই উৎসবটি ‘সারাহ’স ডে’—হেবরনে অনুষ্ঠিত এক বার্ষিক ইহুদি অনুষ্ঠান, যেখানে শহরে ঐতিহাসিক ইহুদি উপস্থিতির বর্ণনাকে জোরদার করা হয়।

পুরোনো হেবরনের এই মসজিদ সম্পূর্ণ ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় অবস্থিত, যেখানে প্রায় ৪০০ অবৈধ বসতি স্থাপনকারীকে পাহারা দিতে প্রায় ১,৫০০ ইসরায়েলি সেনা মোতায়েন রয়েছে।

১৯৯৪ সালে এক অবৈধ বসতি স্থাপনকারীর হামলায় ২৯ ফিলিস্তিনি উপাসক নিহত হওয়ার পর ইসরায়েল মসজিদটি ভাগ করে দেয়—৬৩ শতাংশ অংশ ইহুদি উপাসনার জন্য এবং ৩৭ শতাংশ মুসলিমদের জন্য বরাদ্দ করা হয়। ইহুদি অংশের মধ্যে আজান দেওয়ার কক্ষটিও রয়েছে।

ইসরায়েলের একতরফা ব্যবস্থাপনায় বছরে ১০ দিন ইহুদি ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে মসজিদটি পুরোপুরি মুসলিমদের জন্য বন্ধ থাকে এবং ১০টি ইসলামিক উপলক্ষে পুরোপুরি ইহুদিদের জন্য বন্ধ রাখা হয়। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মুসলিমদের ধর্মীয় দিবসে পূর্ণ প্রবেশাধিকারের নিয়ম আর মানা হচ্ছে না।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ধনী দেশগুলো ব্যর্থ প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে বললেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ইহুদিদের উৎসব:ইসরায়েল ফিলিস্তিনের ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করলো , কারফিউ জারি

আপডেট সময় ০৯:৩৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী হেবরনের পুরোনো শহরে ফিলিস্তিনিদের ওপর কারফিউ জারি রেখে ইব্রাহিমি মসজিদ মুসলিমদের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে, যাতে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা ইহুদি ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কর্মীরা।

বেসরকারি হেবরন ডিফেন্স কমিটির সদস্য এবং এলাকার বাসিন্দা আরেফ জাবের বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে জানান, শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকাল থেকে পুরোনো শহরের বিভিন্ন মহল্লায় কারফিউ কার্যকর রয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী পুরোনো শহরে যাওয়ার সামরিক চেকপয়েন্টগুলো বন্ধ করে দিয়ে প্রবেশ ও বেরোনো পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেছে। এতে অনেক ফিলিস্তিনি বাড়িতে ফিরতে না পেরে হেবরনের অন্যত্র আত্মীয়দের বাসায় রাত কাটাতে বাধ্য হন।

জাবের বলেন, শুক্রবার রাত এবং শনিবার সকাল—দুই সময়েই শত শত অবৈধ বসতি স্থাপনকারী পুরোনো শহরে ঢুকে ভারী সৈন্য-প্রহরায় ‘উসকানিমূলক’ শোভাযাত্রা করে। তার মতে, এই কারফিউ ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের ইব্রাহিমি মসজিদের বাকি অংশ দখল করে সেটিকে উপাসনালয়ে (সিনাগগে) রূপান্তর করার প্রচেষ্টারই অংশ।

বসতি স্থাপনকারীদের এই উৎসবটি ‘সারাহ’স ডে’—হেবরনে অনুষ্ঠিত এক বার্ষিক ইহুদি অনুষ্ঠান, যেখানে শহরে ঐতিহাসিক ইহুদি উপস্থিতির বর্ণনাকে জোরদার করা হয়।

পুরোনো হেবরনের এই মসজিদ সম্পূর্ণ ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় অবস্থিত, যেখানে প্রায় ৪০০ অবৈধ বসতি স্থাপনকারীকে পাহারা দিতে প্রায় ১,৫০০ ইসরায়েলি সেনা মোতায়েন রয়েছে।

১৯৯৪ সালে এক অবৈধ বসতি স্থাপনকারীর হামলায় ২৯ ফিলিস্তিনি উপাসক নিহত হওয়ার পর ইসরায়েল মসজিদটি ভাগ করে দেয়—৬৩ শতাংশ অংশ ইহুদি উপাসনার জন্য এবং ৩৭ শতাংশ মুসলিমদের জন্য বরাদ্দ করা হয়। ইহুদি অংশের মধ্যে আজান দেওয়ার কক্ষটিও রয়েছে।

ইসরায়েলের একতরফা ব্যবস্থাপনায় বছরে ১০ দিন ইহুদি ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে মসজিদটি পুরোপুরি মুসলিমদের জন্য বন্ধ থাকে এবং ১০টি ইসলামিক উপলক্ষে পুরোপুরি ইহুদিদের জন্য বন্ধ রাখা হয়। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মুসলিমদের ধর্মীয় দিবসে পূর্ণ প্রবেশাধিকারের নিয়ম আর মানা হচ্ছে না।