উচ্চ আদালতের জামিনে মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী রোববার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিয়েছেন।
৮৬ বছর বয়সী লতিফ সিদ্দিকী এদিন ছোটভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজির হন। তার আইনজীবী রেজাউল করিম হিরণ আদালতে আবেদন করে বলেন, ‘বয়স ও স্বাস্থ্যগত কারণে হাজিরা আইনজীবীর মাধ্যমে দেওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করছি।’ আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। ফলে লতিফ সিদ্দিকীকে আর সশরীরে হাজিরা দিতে হবে না। হাজিরা শেষে ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে তারা আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
মামলাটি ২৮ আগস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধান বিষয়ক এক আলোচনা সভায় ‘মব’ হামলার ঘটনায় দায়ের হয়। ওই দিন লতিফ সিদ্দিকী, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাসহ ১৬ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরদিন শাহবাগ থানায় তাদের বিরুদ্ধে ‘দেশকে অস্থিতিশীল করা ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়।
প্রসঙ্গত, ৬ নভেম্বর হাই কোর্ট লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল পান্নাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়। এরপর জামিনের নথি পৌঁছানোর পর ১২ নভেম্বর কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।
মামলায় আরও গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক সচিব ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম ও আবু আলম শহীদ খান। অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, মঞ্জুরুল আলম, কাজী এ টি এম আনিসুর রহমান বুলবুল, গোলাম মোস্তফা, মো. মহিউল ইসলাম, মো. জাকির হোসেন, মো. তৌছিফুল বারী খান, মো. আমির হোসেন সুমন, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, দেওয়ান মোহম্মদ আলী ও মো. আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম।

ডিজিটাল রিপোর্ট 




















