ময়মনসিংহ , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন নিশ্চিতে সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন বললেন প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিক সোহেলকে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই বললেন ফয়েজ তৈয়্যব গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে বললেন ফখরুল ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে বললেন প্রধান উপদেষ্টা লটারির মাধ্যমে ডিসি-এসপি বদলির গোলাম পরওয়ারের দাবি হাসিনার রায় ঘিরে কোনো অস্থিরতা সৃষ্টি হয়নি, বিজয় দিবসেও আশঙ্কা নেই বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঢাবি এখনো ফ্যাসিবাদের প্রভাব থেকে পুরোপুরি মুক্ত নয় বললেন রাশেদ শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে বললেন রুমিন ফারহানা নির্বাচন কমিশন গণভোট আয়োজনের আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পায়নি পলিথিন কারখানায় আগুন নারায়ণগঞ্জে
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

সুর ঠিক না রাখতে পারলে শিল্পী হওয়াই উচিত না বললেন রুনা লায়লা

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

উপমহাদেশের সংগীত জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম রুনা লায়লা। সুরের জাদুতে তিনি জয় করেছেন অসংখ্য শ্রোতাদের হৃদয় জয় করেছেন।

কিংবদন্তি এ সংগীতশিল্পী তার দীর্ঘ ছয় দশকের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন দশ হাজারের বেশি গান। বাংলা, উর্দু, হিন্দি, পাঞ্জাবি, গুজরাটি, আরবি, ফারসি, নেপালিসহ মোট ১৮টি ভাষায় কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।

বর্তমান সময়ের সংগীত তৈরির প্রক্রিয়া নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন রুনা লায়লা।

রুনা লায়লা বলেন, ‘অটো টিউন দিয়ে এখন যে কেউ গান গাইতে পারে। সো, এটা বললেই আপনি বুঝতে পারবেন যে এটা আমার পছন্দ, না অপছন্দ।’

তিনি বলেন, ‘আমি যদি নিজের সুর ঠিক না রাখতে পারি, তাহলে তো আমার শিল্পী হওয়াই উচিত না। কারণ অটোটিউনে যদি সবকিছু করে দেয়, আমার সুরও ঠিক করে দিচ্ছে। আমার কোথায় কী সমস্যা আছে ঠিক করে দিচ্ছে, আমি একটা মুখ গাইলাম তারপর আর মুখ গাইলাম না, ওটাই লাগিয়ে দিল আগে-পিছে করে।’

শিল্পী মনে করেন, প্রযুক্তির এই অতিরিক্ত ব্যবহার গানের আসল আবেগ ও স্বতঃস্ফূর্ততা (স্পন্টানিটি) নষ্ট করে দিচ্ছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘তাহলে তো জিনিসটা ওই স্পন্টানিটিটাও থাকে না, ওই ইমোশনও থাকে না।’

তার কথায়, ‘আমরা আগে যেরকম করতাম ফুল মিউজিশিয়ানদের নিয়ে একদম আমরা গান করতাম। সেই বিকেল ছটায় শুরু হলে পরের দিন সকাল ছটায় গিয়ে শেষ হতো। সব মিউজিশিয়ান সবার সাথে, একটা কেউ ভুল করলো তো আবার প্রথম থেকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেখা গেল অনেক সময় ১০১ টেক চলছে নাম্বার ১০১। তো যে খাটনিটা আমরা খেটেছি, এইটা তো এখন নেই। এখন স্টুডিওতে গেলাম, আমিও তো এখন গান করতে গেলে বলি, ‘আচ্ছা কী ট্র্যাক কী? আচ্ছা ঠিক আছে, ওকে চলো’।’

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন নিশ্চিতে সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সুর ঠিক না রাখতে পারলে শিল্পী হওয়াই উচিত না বললেন রুনা লায়লা

আপডেট সময় ১২:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

উপমহাদেশের সংগীত জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম রুনা লায়লা। সুরের জাদুতে তিনি জয় করেছেন অসংখ্য শ্রোতাদের হৃদয় জয় করেছেন।

কিংবদন্তি এ সংগীতশিল্পী তার দীর্ঘ ছয় দশকের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন দশ হাজারের বেশি গান। বাংলা, উর্দু, হিন্দি, পাঞ্জাবি, গুজরাটি, আরবি, ফারসি, নেপালিসহ মোট ১৮টি ভাষায় কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।

বর্তমান সময়ের সংগীত তৈরির প্রক্রিয়া নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন রুনা লায়লা।

রুনা লায়লা বলেন, ‘অটো টিউন দিয়ে এখন যে কেউ গান গাইতে পারে। সো, এটা বললেই আপনি বুঝতে পারবেন যে এটা আমার পছন্দ, না অপছন্দ।’

তিনি বলেন, ‘আমি যদি নিজের সুর ঠিক না রাখতে পারি, তাহলে তো আমার শিল্পী হওয়াই উচিত না। কারণ অটোটিউনে যদি সবকিছু করে দেয়, আমার সুরও ঠিক করে দিচ্ছে। আমার কোথায় কী সমস্যা আছে ঠিক করে দিচ্ছে, আমি একটা মুখ গাইলাম তারপর আর মুখ গাইলাম না, ওটাই লাগিয়ে দিল আগে-পিছে করে।’

শিল্পী মনে করেন, প্রযুক্তির এই অতিরিক্ত ব্যবহার গানের আসল আবেগ ও স্বতঃস্ফূর্ততা (স্পন্টানিটি) নষ্ট করে দিচ্ছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘তাহলে তো জিনিসটা ওই স্পন্টানিটিটাও থাকে না, ওই ইমোশনও থাকে না।’

তার কথায়, ‘আমরা আগে যেরকম করতাম ফুল মিউজিশিয়ানদের নিয়ে একদম আমরা গান করতাম। সেই বিকেল ছটায় শুরু হলে পরের দিন সকাল ছটায় গিয়ে শেষ হতো। সব মিউজিশিয়ান সবার সাথে, একটা কেউ ভুল করলো তো আবার প্রথম থেকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেখা গেল অনেক সময় ১০১ টেক চলছে নাম্বার ১০১। তো যে খাটনিটা আমরা খেটেছি, এইটা তো এখন নেই। এখন স্টুডিওতে গেলাম, আমিও তো এখন গান করতে গেলে বলি, ‘আচ্ছা কী ট্র্যাক কী? আচ্ছা ঠিক আছে, ওকে চলো’।’