ময়মনসিংহ , সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বিসিবি সভাপতির নারী বিপিএল আয়োজনের ঘোষণা খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন বললেন আহমেদ আযম খান একদিনে ৩ স্থানে আগুন গাজীপুরে , পুড়ল গোডাউন ও বাড়িঘর বিচারের দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের বিডিআর হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের ৩ বছর মেয়াদ বাড়লো, ব্যয় কমলো ৭৫৫ কোটি টাকা চূড়ান্ত পর্যায়ে নবম পে স্কেলের ‘বাস্তবসম্মত সুপারিশ’ বিএনপিতে যোগ দিতে পেরে আমি গর্বিত বললেন রেজা কিবরিয়া যারা নির্বাচিত সরকার চায় না, তারেক রহমান তাদের জন্য বড় বাধা বললেন রুমিন ফারহানা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মেম্বারকে গলা কেটে হত্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ বাংলাদেশে প্লট দুর্নীতিতে দোষী সাব্যস্ত
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

বিচারের দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের বিডিআর হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের

পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীদের পরিবার। একইসঙ্গে স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন দ্রুত জনগণের জন্য ওয়েবসাইট প্রকাশ করতে সংবাদ সম্মেলনে দাবি জানান তারা। এছাড়া, হত্যার শিকার পরিবারের নিরাপত্তার দাবিও জানানো হয়।

তৎকালীন বিডিআর বিদ্রোহের নামে ২০০৯ সালে পিলখানায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ১১ মাসের তদন্ত শেষে রোববার (৩০ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন তুলে দেয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন।

প্রতিবেদনে উঠে আসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দলগতভাবে আওয়ামী লীগ, সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের নাম। উঠে আসে প্রতিবেশী দেশ ভরতের রোষানলের কথা।

এর একদিন পর সোমবার সকালে প্রতিবেদনের মতামত জানাতে সংবাদ সম্মেলন করে হত্যার শিকার সেনা পরিবার। জড়িত সকলের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। তদন্ত প্রতিবেদন ওয়েবসাইটে প্রকাশের আহ্বান জানায় পরিবার। তবে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন হাতে না পেয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি।

দেশের ইতিহাসের নির্মমতম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে দলগুলোকে রাজনীতি না করার আহ্বান জানান পরিবারের সদস্যরা।

উল্লেখ্য, প্রতিবেদন প্রকাশ করে তদন্ত কমিশনের সদস্য জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা কিছু বাহ্যিক ও প্রকৃত কারণ বের করেছে কমিশন। এই হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত এবং এর পেছনে প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেছিল তৎকালীন সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস।

তিনি আরও বলেন, পুরো ঘটনাটি সংঘটিত করার ক্ষেত্রে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ছিল।

তিনি এই ঘটনার দায় নিরূপণের ক্ষেত্রে বলেন, দায় তৎকালীন সরকার প্রধান থেকে শুরু করে সেনাপ্রধানেরও। এই ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে সমাধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও র‍্যাব এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোরও রয়েছে চরম ব্যর্থতা।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিসিবি সভাপতির নারী বিপিএল আয়োজনের ঘোষণা

বিচারের দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের বিডিআর হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের

আপডেট সময় ০২:২১:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫

পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীদের পরিবার। একইসঙ্গে স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন দ্রুত জনগণের জন্য ওয়েবসাইট প্রকাশ করতে সংবাদ সম্মেলনে দাবি জানান তারা। এছাড়া, হত্যার শিকার পরিবারের নিরাপত্তার দাবিও জানানো হয়।

তৎকালীন বিডিআর বিদ্রোহের নামে ২০০৯ সালে পিলখানায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ১১ মাসের তদন্ত শেষে রোববার (৩০ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন তুলে দেয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন।

প্রতিবেদনে উঠে আসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দলগতভাবে আওয়ামী লীগ, সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের নাম। উঠে আসে প্রতিবেশী দেশ ভরতের রোষানলের কথা।

এর একদিন পর সোমবার সকালে প্রতিবেদনের মতামত জানাতে সংবাদ সম্মেলন করে হত্যার শিকার সেনা পরিবার। জড়িত সকলের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। তদন্ত প্রতিবেদন ওয়েবসাইটে প্রকাশের আহ্বান জানায় পরিবার। তবে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন হাতে না পেয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি।

দেশের ইতিহাসের নির্মমতম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে দলগুলোকে রাজনীতি না করার আহ্বান জানান পরিবারের সদস্যরা।

উল্লেখ্য, প্রতিবেদন প্রকাশ করে তদন্ত কমিশনের সদস্য জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা কিছু বাহ্যিক ও প্রকৃত কারণ বের করেছে কমিশন। এই হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত এবং এর পেছনে প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেছিল তৎকালীন সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস।

তিনি আরও বলেন, পুরো ঘটনাটি সংঘটিত করার ক্ষেত্রে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ছিল।

তিনি এই ঘটনার দায় নিরূপণের ক্ষেত্রে বলেন, দায় তৎকালীন সরকার প্রধান থেকে শুরু করে সেনাপ্রধানেরও। এই ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে সমাধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও র‍্যাব এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোরও রয়েছে চরম ব্যর্থতা।