ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
আইন উপদেষ্টার সংস্কারের অগ্রগতি নিয়ে নতুন বার্তা নরেন্দ্র মোদিকে বিএনপি ধন্যবাদ জানালো শাকিব খানের পরামর্শ অপু বিশ্বাস মেনে চলেন গান ছেড়ে ভিক্ষার নির্দেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ভয়ে রোজগার বন্ধ অন্ধ হেলালের স্বর্ণের ভরিতে বাড়ল ১৫৭৫ টাকা, বিক্রি হবে নতুন দামে আজ থেকে আজ বাংলাদেশ–আয়ারল্যান্ড সিরিজের ফাইনাল : একাদশে এক পরিবর্তনের ইঙ্গিত ‘র‍্যাডিক্যাল অপটিমিজম’: সফর শেষে ডুয়া লিপা আবেগাপ্লুত ঢাকার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, কুয়াশার সঙ্গে বেড়েছে ঢাকার তাপমাত্রা নাগরিকত্ব দিচ্ছে যে দেশ অতীতের ক্ষত নিরাময়ে কিছু বিশেষ মানুষকে দ্বিতীয় দিনের মতো স্থগিত বার্ষিক পরীক্ষা শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতিতে
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

ফের ৭ কলেজে শিক্ষকদের কর্মবিরতির ডাক

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:১৬:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির খসড়া অধ্যাদেশে একের পর এক অস্পষ্টতা ও প্রশাসনিক জটিলতার অভিযোগ তুলে সরকারি সাত কলেজের শিক্ষকরা আবারও কর্মবিরতির ঘোষণায় ফিরেছেন। তাদের দাবি, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামো চূড়ান্ত না হওয়ায় ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে, আর শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়ই এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছেন। এই পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান না হলে দেশজুড়ে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।

গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) সাত কলেজ স্বাতন্ত্র্য রক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক এবং ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যাপক মাহফিল আরা বেগমের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

পরিষদ বলছে, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় মডেল সরকারি কলেজগুলোর সক্ষমতা সংকুচিত করে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ও সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থাকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। আসনসংখ্যা কমে গেলে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে উচ্চ ফি-নির্ভর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে ভর্তি হবেন। এতে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ ত্বরান্বিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অথচ জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০১০ উচ্চশিক্ষার প্রসার বাড়ানোর কথা বলেছে।

এছাড়া অধ্যাদেশের ৬-এর ২(ক) ধারা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে ব্যবহৃত ‘উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা’ বাক্যাংশ উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় বিলুপ্তির শঙ্কা তৈরি করেছে, যা সাত কলেজ ইস্যুকে আরও জটিল করছে।

এতে অভিযোগ করা হয়েছে, মাথাপিছু রাষ্ট্রীয় বরাদ্দেও বৈষম্যের শিকার সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় বরাদ্দ কম, এমনকি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্যও ব্যয় তুলনামূলকভাবে বেশি। সাত কলেজসহ সরকারি কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি, আবাসন ও পরিবহন সুবিধা সম্প্রসারণ এবং শিক্ষক সংকট দূরীকরণে জরুরি উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান তারা।

শিক্ষকদের প্রধান দাবি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার স্বার্থে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্তরে স্থায়ীভাবে কেবল বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে অধ্যাদেশ জারি করতে হবে।

অন্যদিকে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত পরিষদের পক্ষ থেকে কয়েকদিনের কর্মসূচিও দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে—
২ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় মাউশি প্রাঙ্গণে গণজমায়েত, ৩ ডিসেম্বর দেশব্যাপী সরকারি কলেজে মানববন্ধন ও প্রেস ব্রিফিং, পাবলিক পরীক্ষা বন্ধসহ সাত কলেজে সর্বাত্মক কর্মবিরতি এবং সবশেষ ৬ ডিসেম্বর সারা দেশের বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মহাসমাবেশ।

এছাড়া চূড়ান্ত অধ্যাদেশে শিক্ষকদের মতামত উপেক্ষা করা হলে সারা দেশের সরকারি কলেজে অনির্দিষ্টকালের সর্বাত্মক কর্মবিরতি (টোটাল শাটডাউন) শুরু হবে বলেও হুঁশিয়ারি জানানো হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

আইন উপদেষ্টার সংস্কারের অগ্রগতি নিয়ে নতুন বার্তা

ফের ৭ কলেজে শিক্ষকদের কর্মবিরতির ডাক

আপডেট সময় ০৯:১৬:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির খসড়া অধ্যাদেশে একের পর এক অস্পষ্টতা ও প্রশাসনিক জটিলতার অভিযোগ তুলে সরকারি সাত কলেজের শিক্ষকরা আবারও কর্মবিরতির ঘোষণায় ফিরেছেন। তাদের দাবি, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামো চূড়ান্ত না হওয়ায় ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে, আর শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়ই এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছেন। এই পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান না হলে দেশজুড়ে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।

গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) সাত কলেজ স্বাতন্ত্র্য রক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক এবং ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যাপক মাহফিল আরা বেগমের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

পরিষদ বলছে, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় মডেল সরকারি কলেজগুলোর সক্ষমতা সংকুচিত করে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ও সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থাকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। আসনসংখ্যা কমে গেলে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে উচ্চ ফি-নির্ভর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে ভর্তি হবেন। এতে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ ত্বরান্বিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অথচ জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০১০ উচ্চশিক্ষার প্রসার বাড়ানোর কথা বলেছে।

এছাড়া অধ্যাদেশের ৬-এর ২(ক) ধারা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে ব্যবহৃত ‘উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা’ বাক্যাংশ উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় বিলুপ্তির শঙ্কা তৈরি করেছে, যা সাত কলেজ ইস্যুকে আরও জটিল করছে।

এতে অভিযোগ করা হয়েছে, মাথাপিছু রাষ্ট্রীয় বরাদ্দেও বৈষম্যের শিকার সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় বরাদ্দ কম, এমনকি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্যও ব্যয় তুলনামূলকভাবে বেশি। সাত কলেজসহ সরকারি কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি, আবাসন ও পরিবহন সুবিধা সম্প্রসারণ এবং শিক্ষক সংকট দূরীকরণে জরুরি উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান তারা।

শিক্ষকদের প্রধান দাবি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার স্বার্থে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্তরে স্থায়ীভাবে কেবল বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে অধ্যাদেশ জারি করতে হবে।

অন্যদিকে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত পরিষদের পক্ষ থেকে কয়েকদিনের কর্মসূচিও দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে—
২ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় মাউশি প্রাঙ্গণে গণজমায়েত, ৩ ডিসেম্বর দেশব্যাপী সরকারি কলেজে মানববন্ধন ও প্রেস ব্রিফিং, পাবলিক পরীক্ষা বন্ধসহ সাত কলেজে সর্বাত্মক কর্মবিরতি এবং সবশেষ ৬ ডিসেম্বর সারা দেশের বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের অংশগ্রহণে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মহাসমাবেশ।

এছাড়া চূড়ান্ত অধ্যাদেশে শিক্ষকদের মতামত উপেক্ষা করা হলে সারা দেশের সরকারি কলেজে অনির্দিষ্টকালের সর্বাত্মক কর্মবিরতি (টোটাল শাটডাউন) শুরু হবে বলেও হুঁশিয়ারি জানানো হয়েছে।