গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দেবীদ্বারের সুলতানপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এনসিপির পদযাত্রা ও গণসংযোগ শেষে ‘উঠানে রাজনীতি’ শীর্ষক এক বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি। এ সময় এনসিপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আতাউল্লাহসহ দেবীদ্বার উপজেলা এনসিপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের মায়েরা ঘরে যারা রান্নাবান্নার কাজ করেন, চাকরিজীবী, কৃষক, শ্রমিক ভাইয়েরা নেতা বানায়, কিন্তু নেতায় নির্বাচনের পর তাদের কখনো মানুষ মনে করেন না। আমরা এনসিপি বাংলাদেশের এই কালচারটা পরিবর্তন করতে চাই। কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা বলে থাকেন, আমরা না কি ৫০০ ভোট পাব, ৯ মাসের একটি নতুন দল যদি বাপ-দাদার পরিচয় ছাড়া ৫০০ ভোট পায়, এটাও অনেক বড় বিষয়। আমি খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিনিধি হতে এসেছি। আমার বড় বংশ নেই, টাকা-পয়সা নেই, বিদেশে পড়াশোনা করিনি, আপনাদের মধ্য থেকেই আমি বেড়ে উঠেছি, এটা আমার বড় পরিচয়।
এনসিপির এ নেতা বলেন, আপনার রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে একে অপরকে কষ্ট দেবেন না। আপনি যে রাজনৈতিক দলেরই হোন না কেন, যেন আমাদের মধ্যে এক টেবিলে বসে খাওয়ার মতো পরিবেশ থাকে। একজন যেন আরেকজনের ঘরে যাওয়ার মতো পরিবেশ থাকে, একজনের দাওয়াতে যেন আরেকজন অংশ নিতে পারেন। আপনারা নির্বাচনের সহিংসতা ও উসকানিতে জড়াবেন না।
হাসনাত ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ভোট দিতে সবাই একসঙ্গে যাবেন এবং একসঙ্গে বাড়ি আসবেন, সামাজিকভাবে সবাই একসঙ্গে থাকবেন। আপনি এক মার্কা করবেন, আমি আরেক মার্কা করব, কিন্তু দুজনের মধ্যে যেন দ্বন্দ্ব না থাকে। আপনি যে নেতার জন্য মারামারি করবেন, দেখবেন, নির্বাচনের পর আপনার সঙ্গে ওই নেতার দেখাই হবে না। নির্বাচনের আগে সকল প্রার্থীই ভালো ভালো কথা বলবে, আপনারা যাকে যোগ্য মনে করবেন, তাকেই ভোট দেবেন, নিজেদের মধ্যে সহিংসতায় জড়াবেন না, পরিবারের মধ্যে সহিংসতায় জড়াবেন না।
এর আগে দুপুরে ভানী ইউনিয়নের সূর্যপুর গ্রামে জুলাই আন্দোলনে শহীদ কাদির হোসেন সোহাগের বাড়িতে গিয়ে তার মা ও স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এনসিপির এ নেতা। পরে পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে খাদঘর, সূর্যপুর, সাহারপাড়, ফুলতলি, নোয়াগাঁও, সাইতলা বাজার, বরাট, ভানী ইউনিয়নের খিড়াইকান্দি, বক্রিকান্দি, কুরছাপ, আতাপুর ও সূর্যপুর এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।

ডিজিটাল ডেস্ক 






















