ময়মনসিংহ , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ বলা জাহাঙ্গীরন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষক বরখাস্ত

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় ১২:৪৬:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ বলে সম্বোধনকারী দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. এ বি এম আজিজুর রহমান। এর আগে রবিবার (১০ নভেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আন্দোলন চলাকালে ১৭ জুলাই বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের চ্যাটবক্স ফাঁস হয়। সেখানে লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক জেবুন্নেসা লেখেন, ‘আমাদের এতগুলো শিক্ষক আহত হয়েছেন। আমরা না খেয়ে আছি। আমাদের খবর কেউ নিচ্ছে না।’

এ মন্তব্যের উত্তরে অধ্যাপক ফরিদ বলেন, ‘আরেকটু অপেক্ষা করুন। রাজাকারদের পরাজয় আসন্ন। আপনাদের কষ্টের বিনিময়ে দেশ আগামী দিনে শুদ্ধ ধারায় এগিয়ে যাবে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’

জানা যায়, গত ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ, বহিরাগত সন্ত্রাসী ও পুলিশের হামলা হয়। এ ঘটনায় ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই উপাচার্য, প্রক্টরসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাসহ মোট ২১৪ জনকে আসামি করা হয়। অধ্যাপক ফরিদ আহমদ মামলার ৮ নম্বর আসামি। পরে ৪ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে একদল শিক্ষার্থী তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে সাজ্জাদুলের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

এদিকে একাধিক সিডিকেট সদস্য সূত্রে জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে অধ্যাপক বশির আহমেদ অনুষদের কোনো একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অংশ নেননি। এ কারণে অনুষদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সিন্ডিকেটের পরামর্শে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭৩ এর ৮ (২) ধারা অনুসারে অধ্যাপক বশিরকে ডিন পদ দিতে অব্যাহতি দিয়ে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলমকে ডিনের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

 

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ বলা জাহাঙ্গীরন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষক বরখাস্ত

আপডেট সময় ১২:৪৬:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ বলে সম্বোধনকারী দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. এ বি এম আজিজুর রহমান। এর আগে রবিবার (১০ নভেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আন্দোলন চলাকালে ১৭ জুলাই বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের চ্যাটবক্স ফাঁস হয়। সেখানে লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক জেবুন্নেসা লেখেন, ‘আমাদের এতগুলো শিক্ষক আহত হয়েছেন। আমরা না খেয়ে আছি। আমাদের খবর কেউ নিচ্ছে না।’

এ মন্তব্যের উত্তরে অধ্যাপক ফরিদ বলেন, ‘আরেকটু অপেক্ষা করুন। রাজাকারদের পরাজয় আসন্ন। আপনাদের কষ্টের বিনিময়ে দেশ আগামী দিনে শুদ্ধ ধারায় এগিয়ে যাবে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’

জানা যায়, গত ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ, বহিরাগত সন্ত্রাসী ও পুলিশের হামলা হয়। এ ঘটনায় ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই উপাচার্য, প্রক্টরসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাসহ মোট ২১৪ জনকে আসামি করা হয়। অধ্যাপক ফরিদ আহমদ মামলার ৮ নম্বর আসামি। পরে ৪ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে একদল শিক্ষার্থী তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে সাজ্জাদুলের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

এদিকে একাধিক সিডিকেট সদস্য সূত্রে জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে অধ্যাপক বশির আহমেদ অনুষদের কোনো একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অংশ নেননি। এ কারণে অনুষদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সিন্ডিকেটের পরামর্শে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭৩ এর ৮ (২) ধারা অনুসারে অধ্যাপক বশিরকে ডিন পদ দিতে অব্যাহতি দিয়ে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলমকে ডিনের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।