আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির নির্বাচনী সমীকরণ পাল্টে যাচ্ছে। দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে যে, শরিকদের সঙ্গে বিএনপি কোনো আনুষ্ঠানিক ‘নির্বাচনী জোট’ করছে না। বরং আসনভিত্তিক সমঝোতার পথে হাঁটছে দলটি। এই নতুন কৌশলে শীর্ষ নেতাদের আসনে ছাড় দেওয়া হলেও অনেক আসনেই শরিকদের বিএনপির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হতে পারে। দেশের প্রথম সারির একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
বিএনপি ইতিমধ্যে দুই দফায় ২৭২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এতে শরিক দলগুলোর মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিলেও বিএনপি আশ্বস্ত করছে যে: নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, জেএসডি ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শীর্ষ নেতাদের আসনে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেবে না। সমঝোতার ভিত্তিতে যেসব আসন শরিকদের ছেড়ে দেওয়া হবে, সেখানে ইতিমধ্যে ঘোষিত বিএনপির প্রার্থীদের সরিয়ে নেওয়া হবে। অনেক আসনে শরিক দলগুলো চাইলে ধানের শীষের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে।
আগামী ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়। অন্যদিকে ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আসন সমঝোতার চূড়ান্ত অনুমোদন তাঁর পক্ষ থেকেই আসার কথা। তিনি লন্ডন থেকে এই সিদ্ধান্ত দেবেন নাকি দেশে ফেরার পর দেবেন—তা নিয়ে শরিকদের মধ্যে সংশয় রয়ে গেছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, আলোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু বলা সম্ভব নয়।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের অবর্তমানে নির্বাচন যতটা সহজ মনে করা হয়েছিল, বর্তমানে শরিকদের মানিয়ে নেওয়া এবং দলীয় প্রার্থীজট সামলানো বিএনপির জন্য ততটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অনলাইন ডেস্ক 























