ময়মনসিংহ , বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

তাসনিম জারা মাত্র ২৯ ঘণ্টায় ৪৭ লাখ টাকা অনুদানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করলেন

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৩৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারার নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। মাত্র ২৯ ঘণ্টায় প্রায় ৪৭ লাখ টাকা অনুদান পাওয়ায় আপাতত আর কোনো অনুদান গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান ডা. তাসনিম জারা। তিনি লেখেন, ‘আমাদের ফান্ড রেইজিং লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৪৭ লাখ টাকা আপনারা মাত্র ২৯ ঘণ্টায় পূরণ করে ফেলেছেন। আপনাদের এই অভূতপূর্ব সাড়া পুরোনো রাজনৈতিক ধারার মূলে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে। আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আর কোনো অনুদান গ্রহণ করছি না।’

তিনি বলেন, এখন শুরু হচ্ছে ‘আসল লড়াই’। তাঁর ভাষায়, এই নির্বাচনে অধিকাংশ প্রার্থী ১০ থেকে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করবেন। অনেকেই মনে করেন টাকা দিয়ে ভোট কেনা যায়, তবে তারা ভুলে যান যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সাধারণ মানুষ নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করতেও প্রস্তুত।

নির্বাচনী কৌশল ব্যাখ্যা করে ডা. তাসনিম জারা জানান, ঢাকা-৯ আসনে প্রায় পাঁচ লাখ ভোটার রয়েছেন। একজন প্রার্থী হিসেবে দিনে ১২ ঘণ্টা হেঁটে প্রতিটি পরিবারের সঙ্গে পাঁচ মিনিট করে কথা বললেও দিনে সর্বোচ্চ ১০০ থেকে ১১০টি পরিবারের কাছে পৌঁছানো সম্ভব। পুরো প্রচারণা জুড়ে তিনি বড়জোর চার হাজার পরিবারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন, ফলে কয়েক লাখ পরিবারের কাছে বার্তা পৌঁছাবে না।

এনসিপির এই নেতা বলেন, অনেক সমর্থকই ঢাকা-৯ আসনের ভোটার না হলেও তাঁদের আত্মীয়, বন্ধু বা পরিচিতজন এ এলাকায় বসবাস করেন। একজন পরিচিত মানুষের একটি কথাই পোস্টার, ব্যানার বা ব্যয়বহুল প্রচারণার চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর হতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, নিয়ম মেনে তিনি পোস্টার লাগাননি, যেখানে অন্য প্রার্থীরা তা করেছেন; এই অসমতা কাটাতে একটি ফোন কলও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

এ সময় তিনি সমর্থকদের প্রতি দুটি সুনির্দিষ্ট আহ্বান জানান। প্রথমত, সপ্তাহে চার থেকে আট ঘণ্টা সময় দিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে দলবদ্ধভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারণায় যুক্ত হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। দ্বিতীয়ত, পোলিং এজেন্ট হিসেবে কিংবা নির্বাচনের দিন ভোটারদের সহায়তায় টিমে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। তাঁর ভাষায়, ভোটের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে এমন মানুষ প্রয়োজন, যারা অন্যায়ের সামনে মাথা নত করবেন না।

ডা. তাসনিম জারা বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে প্রমাণ করব, জনগণের সম্মিলিত শক্তির সামনে কোটি কোটি কালো টাকা কতটা অসহায়।’

ফান্ড ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা নিয়েও বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। জানান, কোনো নগদ অনুদান গ্রহণ করা হয়নি; সব অর্থ একটি বিকাশ ও একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সংগৃহীত, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং ভবিষ্যতে যাচাইযোগ্য। কোন মাধ্যমে কত টাকা এসেছে, সে তথ্য নিয়মিত জানানো হচ্ছে এবং সব নথি নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, অনুদানের জন্য ব্যবহৃত বিকাশ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দুটি নতুন, সেখানে ব্যক্তিগত কোনো লেনদেন নেই এবং অ্যাকাউন্টের শতভাগ অর্থই অনুদান হিসেবে সংগৃহীত। সংগৃহীত অর্থ কোন খাতে কত ব্যয় করা হবে, তা-ও স্পষ্টভাবে প্রকাশ করা হবে বলে তিনি জানান।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তাসনিম জারা মাত্র ২৯ ঘণ্টায় ৪৭ লাখ টাকা অনুদানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করলেন

আপডেট সময় ০৯:৩৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারার নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। মাত্র ২৯ ঘণ্টায় প্রায় ৪৭ লাখ টাকা অনুদান পাওয়ায় আপাতত আর কোনো অনুদান গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান ডা. তাসনিম জারা। তিনি লেখেন, ‘আমাদের ফান্ড রেইজিং লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৪৭ লাখ টাকা আপনারা মাত্র ২৯ ঘণ্টায় পূরণ করে ফেলেছেন। আপনাদের এই অভূতপূর্ব সাড়া পুরোনো রাজনৈতিক ধারার মূলে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে। আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আর কোনো অনুদান গ্রহণ করছি না।’

তিনি বলেন, এখন শুরু হচ্ছে ‘আসল লড়াই’। তাঁর ভাষায়, এই নির্বাচনে অধিকাংশ প্রার্থী ১০ থেকে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করবেন। অনেকেই মনে করেন টাকা দিয়ে ভোট কেনা যায়, তবে তারা ভুলে যান যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সাধারণ মানুষ নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করতেও প্রস্তুত।

নির্বাচনী কৌশল ব্যাখ্যা করে ডা. তাসনিম জারা জানান, ঢাকা-৯ আসনে প্রায় পাঁচ লাখ ভোটার রয়েছেন। একজন প্রার্থী হিসেবে দিনে ১২ ঘণ্টা হেঁটে প্রতিটি পরিবারের সঙ্গে পাঁচ মিনিট করে কথা বললেও দিনে সর্বোচ্চ ১০০ থেকে ১১০টি পরিবারের কাছে পৌঁছানো সম্ভব। পুরো প্রচারণা জুড়ে তিনি বড়জোর চার হাজার পরিবারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন, ফলে কয়েক লাখ পরিবারের কাছে বার্তা পৌঁছাবে না।

এনসিপির এই নেতা বলেন, অনেক সমর্থকই ঢাকা-৯ আসনের ভোটার না হলেও তাঁদের আত্মীয়, বন্ধু বা পরিচিতজন এ এলাকায় বসবাস করেন। একজন পরিচিত মানুষের একটি কথাই পোস্টার, ব্যানার বা ব্যয়বহুল প্রচারণার চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর হতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, নিয়ম মেনে তিনি পোস্টার লাগাননি, যেখানে অন্য প্রার্থীরা তা করেছেন; এই অসমতা কাটাতে একটি ফোন কলও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

এ সময় তিনি সমর্থকদের প্রতি দুটি সুনির্দিষ্ট আহ্বান জানান। প্রথমত, সপ্তাহে চার থেকে আট ঘণ্টা সময় দিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে দলবদ্ধভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারণায় যুক্ত হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। দ্বিতীয়ত, পোলিং এজেন্ট হিসেবে কিংবা নির্বাচনের দিন ভোটারদের সহায়তায় টিমে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। তাঁর ভাষায়, ভোটের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে এমন মানুষ প্রয়োজন, যারা অন্যায়ের সামনে মাথা নত করবেন না।

ডা. তাসনিম জারা বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে প্রমাণ করব, জনগণের সম্মিলিত শক্তির সামনে কোটি কোটি কালো টাকা কতটা অসহায়।’

ফান্ড ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা নিয়েও বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। জানান, কোনো নগদ অনুদান গ্রহণ করা হয়নি; সব অর্থ একটি বিকাশ ও একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সংগৃহীত, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং ভবিষ্যতে যাচাইযোগ্য। কোন মাধ্যমে কত টাকা এসেছে, সে তথ্য নিয়মিত জানানো হচ্ছে এবং সব নথি নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, অনুদানের জন্য ব্যবহৃত বিকাশ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দুটি নতুন, সেখানে ব্যক্তিগত কোনো লেনদেন নেই এবং অ্যাকাউন্টের শতভাগ অর্থই অনুদান হিসেবে সংগৃহীত। সংগৃহীত অর্থ কোন খাতে কত ব্যয় করা হবে, তা-ও স্পষ্টভাবে প্রকাশ করা হবে বলে তিনি জানান।