বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার আঙুলের ছাপ, চোখের মণির প্রতিচ্ছবি (আইরিশ) এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদানের পর সর্বনিম্ন ৭ ঘণ্টা থেকে সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি হাতে পাবেন।
আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে স্থাপিত নিবন্ধন কেন্দ্রে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এস এম হুমায়ুন কবীর। তিনি জানান, তথ্য প্রদানের পর ডেটাবেজে এনআইডি নম্বর জেনারেট হতে কিছুটা সময় লাগে, যা সম্পূর্ণ একটি সফটওয়্যারভিত্তিক প্রক্রিয়া।
তারেক রহমানের ভোটার হওয়ার আইনি প্রয়োজনীয়তা এবং দীর্ঘ নির্বাসনের প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে হুমায়ুন কবীর জানান যে, ২০০৭ সালে বাংলাদেশে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন শুরু হওয়ার সময় তারেক রহমান কারাগারে ছিলেন। পরবর্তীকালে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পাড়ি জমানোর কারণে গত সাড়ে ১৭ বছরে তার জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।
এনআইডি উইংয়ের ডিজি বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন যে, ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করার পর ছবি, আইরিশ এবং আঙুলের ছাপ গ্রহণ করা হয়। এরপর তথ্যগুলো কেন্দ্রীয় সার্ভারে আপলোড করা হয় এবং অনুমোদিত হওয়ার পর সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি অনন্য এনআইডি নম্বর তৈরি করে।
এই প্রক্রিয়ায় মানুষের কোনো সরাসরি হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। কারো ক্ষেত্রে এই নম্বর তৈরি হতে ৫ ঘণ্টা সময় লাগে, আবার কারো ক্ষেত্রে তা ১০ ঘণ্টার বেশিও লাগতে পারে। তবে তারেক রহমানের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের কারিগরি প্রস্তুতি রাখা হয়েছে যাতে করে তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এনআইডি সংগ্রহ করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন।
উল্লেখ্য যে, গত ১১ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন, যার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। ইতিমধ্যে বগুড়া-৬ আসন থেকে তারেক রহমানের নামে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২২ ডিসেম্বর বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে তার দেশে ফেরা এবং ভোটার হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ তখন জানিয়েছিলেন যে, ২৭ ডিসেম্বর ভোটার ও এনআইডি সংক্রান্ত কাজগুলো তারেক রহমান নিজেই সম্পন্ন করবেন। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন ভবন এলাকায় তার আগমনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

ডিজিটাল রিপোর্ট 



















