লন্ডনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সরকার দেশে ফেরাতে চাইলে ব্রিটেন সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রশান্ত মহাসাগর বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট।
তারেক রহমানের দেশে ফেরানো প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ক্যাথরিন ওয়েস্ট বলেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিষয়ে কথা হয়নি। তবে সরকার তাকে ফেরাতে চাইলে সহায়তা করতে প্রস্তুত ব্রিটেন।
ব্রিটিশ মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়েছে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে। এছাড়া বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফেরাতে ড. ইউনূস রূপরেখা ঘোষণা করবেন বলে আশা ব্রিটেনের। সেইসঙ্গে রাজনীতিতে সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রত্যাশা করে যুক্তরাজ্য।
২০০৭ সালের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আটক হয়েছিলেন তারেক রহমান। পরে তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডন চলে যান। এরপর লন্ডনে থেকে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করেন। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ড দেয়ার পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন তারেক। এরপর লন্ডন থেকেই তিনি দল পরিচালনা করছেন।পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলার জন্য তারেক রহমানকে দায়ী করে থাকে এবং আদালতেও তার শাস্তি হয়। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারেরও ঘোষণা দিয়েছিলেন ক্ষমতচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়। আওয়ামী শাসনের অবসান ঘটনা পর থেকেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার গুঞ্জন সৃষ্টি হয়।