ময়মনসিংহ , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

গাজীপুরে দুই কারখানার শ্রমিকদের সংঘর্ষ, স্থানীয়দের ওপর হামলা, কারখানায় অগ্নিসংযোগ

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সময় অন্য একটি কারখানার শ্রমিকেরা নিজস্ব দাবি নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে শ্রমিকেরা স্থানীয় বাসিন্দাদের মারধর করেন। এ নিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষ বাধে। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা পাশে অন্য একটি কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।আন্দোলনকারী শ্রমিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এক মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো বেক্সিমকোর শ্রমিকেরা আজ সোমবার সকাল থেকে চক্রবর্তী এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ কারণে আশপাশের অন্তত ২০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া ১ নভেম্বর থেকে পানিশাইল এলাকার ডরিন ফ্যাশন লিমিটেড কারখানাটি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। গতকাল রোববার কারখানা খুলে দেওয়া হলেও দুপুরের পর ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। আজ সকালে কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকেরা দেখেন ফের তাঁদের কারখানা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কারখানার সামনে নোটিশ সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই নোটিশ দেখে কারখানা খোলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভে শুরু করেন।একপর্যায়ে ডরিন ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিকেরা চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের জিরানী এলাকায় অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন। একই সময়ে একই সড়কের পৃথক স্থানে বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকেরাও অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডরিন ফ্যাশন ও বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডার হয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হন। এ সময়ে শ্রমিকেরা পানিশাইল ও কলতাসুতি এলাকায় ঢুকে পড়ে এলাকার লোকজনকে মারধর করেন। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করে। বেশ কিছু সময় ত্রিমুখী পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এ সময়ে ডরিন ফ্যাশন ও বেক্সিমকোর কিছু শ্রমিক পূর্ব কলতাসুতি এলাকার অ্যামাজন নিটওয়্যার নামের একটি কারখানায় অগ্নিসংযোগ করেন। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে ঘটনাস্থলে উত্তেজনা থাকায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থালে যাননি।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসে উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, খবর পেয়ে কাশিমপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট পাঠানো হয়েছে। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সহযোগিতায় আগুন নেভানো হবে।

কাশিমপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হানিফ বলেন, ‘কারখানায় আগুন জ্বলছে। দমকল বাহিনী এক ঘণ্টা হয়ে গেলেও সেখানে আসেনি।’

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাজীপুরে দুই কারখানার শ্রমিকদের সংঘর্ষ, স্থানীয়দের ওপর হামলা, কারখানায় অগ্নিসংযোগ

আপডেট সময় ০৩:২৪:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সময় অন্য একটি কারখানার শ্রমিকেরা নিজস্ব দাবি নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে শ্রমিকেরা স্থানীয় বাসিন্দাদের মারধর করেন। এ নিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষ বাধে। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা পাশে অন্য একটি কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।আন্দোলনকারী শ্রমিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এক মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো বেক্সিমকোর শ্রমিকেরা আজ সোমবার সকাল থেকে চক্রবর্তী এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ কারণে আশপাশের অন্তত ২০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া ১ নভেম্বর থেকে পানিশাইল এলাকার ডরিন ফ্যাশন লিমিটেড কারখানাটি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। গতকাল রোববার কারখানা খুলে দেওয়া হলেও দুপুরের পর ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। আজ সকালে কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকেরা দেখেন ফের তাঁদের কারখানা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কারখানার সামনে নোটিশ সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই নোটিশ দেখে কারখানা খোলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভে শুরু করেন।একপর্যায়ে ডরিন ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিকেরা চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের জিরানী এলাকায় অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন। একই সময়ে একই সড়কের পৃথক স্থানে বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকেরাও অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডরিন ফ্যাশন ও বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডার হয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হন। এ সময়ে শ্রমিকেরা পানিশাইল ও কলতাসুতি এলাকায় ঢুকে পড়ে এলাকার লোকজনকে মারধর করেন। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করে। বেশ কিছু সময় ত্রিমুখী পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এ সময়ে ডরিন ফ্যাশন ও বেক্সিমকোর কিছু শ্রমিক পূর্ব কলতাসুতি এলাকার অ্যামাজন নিটওয়্যার নামের একটি কারখানায় অগ্নিসংযোগ করেন। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে ঘটনাস্থলে উত্তেজনা থাকায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থালে যাননি।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসে উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, খবর পেয়ে কাশিমপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট পাঠানো হয়েছে। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সহযোগিতায় আগুন নেভানো হবে।

কাশিমপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হানিফ বলেন, ‘কারখানায় আগুন জ্বলছে। দমকল বাহিনী এক ঘণ্টা হয়ে গেলেও সেখানে আসেনি।’