সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুককে খালাস দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ এসএম জিয়াউর রহমানের আদালত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাসের রায় দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জয়নাল আবেদীন ফারুক নোয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য থাকাকালে ১৯৯৯ সালের ৯ জুলাই থেকে ২২ আগস্ট ১৯৯৯ পর্যন্ত দুদকের পক্ষ থেকে তার পরিবারসহ সবার সম্পদ বিবরণী দেয়ার নোটিশ দেয়া হয়। ৪৫ দিন সময় পেয়েও তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি। ২০০০ সালের ১৯ জানুয়ারি ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম। ২০০১ সালের ১৭ জুন অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন পরিদর্শক ইমদাদুল হক। ২০০৬ সালের ২৩ মার্চ তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।
রায় ঘোষণার সময় জয়নুল আবদিন ফারুক আদালতে হাজির ছিলেন। খালাস পেয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে যে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হলো তারই প্রেক্ষিতে আজ স্বাধীন রায় হলো। বিচার বিভাগ এখন স্বাধীন। বিচারকদের এখন আর কারো মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয় না। বিপ্লবী ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা পেয়েছি আজকের রায়ে তা প্রমাণিত হলো। আমি খালাস পেয়েছি। খালাস উৎসর্গ করলাম ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে যারা গণতান্ত্রিক অধিকার ফেরত দিয়েছে। আমার অনুভূতি একটায় দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকুক। যে দলের হোক, যে মতের হোক বিচার বিভাগ যেন সত্যিকার অর্থে স্বাধীন থাকুক। বিচার করার সাহসিকতা আজ দেখেছি। বিগত দিনের মত যেন আর বিচার না হয়।