ময়মনসিংহ , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিশু আরাফাত মারা গেছে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঘন কুয়াশায় নাটোরে ৬ ট্রাকে সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত ৭ ডলার বাজারে অস্থিরতা, লেনদেনের তথ্য চায় বাংলাদেশ ব্যাংক সাবেক এমপি পোটন রিমান্ডে যুবদল নেতা হত্যা মামলায় টিউলিপ সিদ্দিককে যুক্তরাজ্যে জিজ্ঞাসাবাদ,৪ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ চিরকুট লিখে বীর মুক্তিযোদ্ধা আত্মহত্যা করলেন দুদকের মামলা স্ত্রী-কন্যাসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহে সরকারি প্রতিষ্ঠানে চলছিল অস্ত্র-মাদক কেনাবেচা
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

মোশাররফ পলাতক ফরিদপুরকে অপরাধের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে

সাবেক এমপি ও তিনবারের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন মাত্র ১০ বছর ক্ষমতার জোরে গড়ে তোলেন অঢেল সম্পদ। তিনিসহ তার অনুসারীরাও দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারে অভিযুক্ত। দেশের বহুল আলোচিত ২ হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং এর মামলায় তাদের এখনো জেলে। তবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাব খাটিয়ে বেঁচে যান তিনি। সেই থেকেই দেশ ছাড়া তিনি।

পলাতক হাসিনার বেয়াই হওয়ার সুবাদে এমপি ও মন্ত্রী হয়ে মোশাররফ এলাকায় বিশেষ বাহিনী তৈরি করে কায়েম করেন দুর্নীতির রাম রাজত্ব। ফরিদপুর শহরের বদরপুর, কমলাপুর ও ডিকরিরচরে সরকারি খাস ও ব্যক্তিমালিকানাধীন একাধিক জমি দখল করে তৈরি করেন বিলাসবহুল ৩টি বাড়ি। এর বাইরেও রয়েছে দুইটি বাড়ি।তার দখলবাজি থেকে রেহাই পাননি স্থানীয় সংখ্যালঘুরাও।

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে ফরিদপুর শহরের প্রবেশমুখে বদরপুরে ‘আফসানা মন্জিল’ নামে বাড়িটিতে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ বিঘা জমি রয়েছে, যার মধ্যে তার উত্তরাধিকারসূত্রে ছিল মাত্র দুই বিঘা বাকি সবটুকুই জোর করে নেওয়া।সদর উপজেলার ডিকরিরচরে রয়েছে নামে-বেনামে কয়েশ বিঘা সম্পত্তি। এছাড়াও দক্ষিণ কালীবাড়িতে রাজেন্দ্র কলেজ সংলগ্ন পৈত্রিক বাড়ির পাশে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি লিখে নেন তিনি। সেই সময় এই বিষয় নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়, তবে ক্ষমতার প্রভাবে সবার মুখ বন্ধ করেন তিনি। তার  দাপটের কাছে টিকতে না পেরে জমি লিখে দেওয়ার পর কেউ করছে মানবতের জীবনযাপন, কেউবা অসুস্থ।

২০০৯ সালে ভাইয়ের ছায়া হিসেবে আসার পর আবির্ভূত হন খন্দকার মোহতেশাম হোসেন। তিনি মোশাররফের অলিখিত প্রতিনিধি হিসেবে সকল কর্মকান্ড সামলাতেন।একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।

উল্লেখ্য, দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে কাফরুল থানার মামলায় সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম বাবরসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে

মোশাররফ পলাতক ফরিদপুরকে অপরাধের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে

আপডেট সময় ১১:৪০:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

সাবেক এমপি ও তিনবারের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন মাত্র ১০ বছর ক্ষমতার জোরে গড়ে তোলেন অঢেল সম্পদ। তিনিসহ তার অনুসারীরাও দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারে অভিযুক্ত। দেশের বহুল আলোচিত ২ হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং এর মামলায় তাদের এখনো জেলে। তবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাব খাটিয়ে বেঁচে যান তিনি। সেই থেকেই দেশ ছাড়া তিনি।

পলাতক হাসিনার বেয়াই হওয়ার সুবাদে এমপি ও মন্ত্রী হয়ে মোশাররফ এলাকায় বিশেষ বাহিনী তৈরি করে কায়েম করেন দুর্নীতির রাম রাজত্ব। ফরিদপুর শহরের বদরপুর, কমলাপুর ও ডিকরিরচরে সরকারি খাস ও ব্যক্তিমালিকানাধীন একাধিক জমি দখল করে তৈরি করেন বিলাসবহুল ৩টি বাড়ি। এর বাইরেও রয়েছে দুইটি বাড়ি।তার দখলবাজি থেকে রেহাই পাননি স্থানীয় সংখ্যালঘুরাও।

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে ফরিদপুর শহরের প্রবেশমুখে বদরপুরে ‘আফসানা মন্জিল’ নামে বাড়িটিতে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ বিঘা জমি রয়েছে, যার মধ্যে তার উত্তরাধিকারসূত্রে ছিল মাত্র দুই বিঘা বাকি সবটুকুই জোর করে নেওয়া।সদর উপজেলার ডিকরিরচরে রয়েছে নামে-বেনামে কয়েশ বিঘা সম্পত্তি। এছাড়াও দক্ষিণ কালীবাড়িতে রাজেন্দ্র কলেজ সংলগ্ন পৈত্রিক বাড়ির পাশে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি লিখে নেন তিনি। সেই সময় এই বিষয় নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়, তবে ক্ষমতার প্রভাবে সবার মুখ বন্ধ করেন তিনি। তার  দাপটের কাছে টিকতে না পেরে জমি লিখে দেওয়ার পর কেউ করছে মানবতের জীবনযাপন, কেউবা অসুস্থ।

২০০৯ সালে ভাইয়ের ছায়া হিসেবে আসার পর আবির্ভূত হন খন্দকার মোহতেশাম হোসেন। তিনি মোশাররফের অলিখিত প্রতিনিধি হিসেবে সকল কর্মকান্ড সামলাতেন।একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।

উল্লেখ্য, দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে কাফরুল থানার মামলায় সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম বাবরসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।