ময়মনসিংহ , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

ফিরলো তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা,বাতিল হলো দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় ০১:৩১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

বাতিল হলো দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন, ফিরলো তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা, ফিরলো গণভোটের বিধান। সেই সঙ্গে সংবিধান বহির্ভূতভাবে ক্ষমতা দখল সংক্রান্ত ৭ এর ক ও খ অনুচ্ছেদও বাতিল করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলসহ বেশকিছু বিষয়ে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলে এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের মূল অংশ পাঠ করছেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, সংবিধান হলো আমাদের সর্বোচ্চ আইন, ৭ অনুচ্ছেদ হলো এর ধ্রুবতারা। পঞ্চদশ সংশোধনী মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করা হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

রায়ের পর্যবেক্ষণে উচ্চ আদালত আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতেই হয়েছে। এটি সংবিধানের মৌলিক ভিত্তি হয়ে গেছে। কিন্তু পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকেই ধ্বংস করা হয়। বহুল আলোচিত এই সংশোধনীর মাধ্যমে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে, ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী রূপ দেয়ার অপচেষ্টা চালায় আওয়ামী লীগ। অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকে রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ হিসেবে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধানও রাখা হয়। আগে সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বিধান থাকলেও, পঞ্চদশ সংশোধনীতে তা আনা হয়, পূর্ববর্তী ৯০ দিনে।

এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর এই মর্মে জারি করা রুলের রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। দীর্ঘ ২৩ কার্যদিবস শুনানি শেষে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন, রিটকারী সুজনের বদিউল আলমের পক্ষে শুনানি করেন  সিনিয়র আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া। বিএনপির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল। জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকী। ইনসানিয়াত বিপ্লবের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান, চার আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী, ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ।

 

গত ১৯ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

সে সময় বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেছিলেন। সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ জনের রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এ রুল জারি করেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

ফিরলো তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা,বাতিল হলো দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন

আপডেট সময় ০১:৩১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বাতিল হলো দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন, ফিরলো তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা, ফিরলো গণভোটের বিধান। সেই সঙ্গে সংবিধান বহির্ভূতভাবে ক্ষমতা দখল সংক্রান্ত ৭ এর ক ও খ অনুচ্ছেদও বাতিল করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলসহ বেশকিছু বিষয়ে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলে এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের মূল অংশ পাঠ করছেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, সংবিধান হলো আমাদের সর্বোচ্চ আইন, ৭ অনুচ্ছেদ হলো এর ধ্রুবতারা। পঞ্চদশ সংশোধনী মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করা হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

রায়ের পর্যবেক্ষণে উচ্চ আদালত আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতেই হয়েছে। এটি সংবিধানের মৌলিক ভিত্তি হয়ে গেছে। কিন্তু পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকেই ধ্বংস করা হয়। বহুল আলোচিত এই সংশোধনীর মাধ্যমে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে, ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী রূপ দেয়ার অপচেষ্টা চালায় আওয়ামী লীগ। অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকে রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ হিসেবে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধানও রাখা হয়। আগে সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বিধান থাকলেও, পঞ্চদশ সংশোধনীতে তা আনা হয়, পূর্ববর্তী ৯০ দিনে।

এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর এই মর্মে জারি করা রুলের রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। দীর্ঘ ২৩ কার্যদিবস শুনানি শেষে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন, রিটকারী সুজনের বদিউল আলমের পক্ষে শুনানি করেন  সিনিয়র আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া। বিএনপির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল। জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকী। ইনসানিয়াত বিপ্লবের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান, চার আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী, ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ।

 

গত ১৯ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

সে সময় বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেছিলেন। সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ জনের রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এ রুল জারি করেন।