নিহত সাজু মোল্লার বাড়ি গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার হাটবাড়িয়া গ্রামে। বর্তমানে মুগদার মান্ডা কদমআলী ঝিলপাড় এলাকায় থাকতেন। তার বাবার নাম মোতালেব মোল্লা।
তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা বন্ধু মো. বায়জিদ জানান, বিজয়নগর এলাকার একটি বাসার প্রাইভেটকার চালান সাজু। গতরাতে মুগদা বাসা থেকে বায়জিদ তার নিজের অটোরিকশায় করে সাজুকে নিয়ে আসেন বিজয়নগর। বিজয়নগর পানির টাংকি এলাকার রাস্তায় তাকে নামিয়ে দিয়ে বায়েজিদ রাস্তার উল্টো পাশে গিয়ে চা পান করছিলেন। এর কয়েক মিনিট পরে গলি থেকে চিৎকার শুনতে পান এবং বায়জিদকে নাম ধরে ডাকতে শুনেন। তখন সে দৌড়ে রাস্তার উল্টো পাশে গিয়েও সাজুকে আর দেখতে পাননি। পরবর্তীতে স্থানীয় থানা পুলিশের কল করলে পুলিশের সহযোগিতায় একটি গলি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাজুকে উদ্ধার করেন। সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। তবে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বায়েজিদ আরও জানান, তার ধারণা গলি দিয়ে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েছিলেন সাজু। তার মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেয়ায় তাকে কুপিয়ে আহত করে ফেলে রেখে গেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক)মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভোরে ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।