ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশনে যাত্রীদের তোপের মুখে পড়েছেন স্টেশন সুপার। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ময়মনসিংহ জংশন স্টেশনে এসে পৌঁছায়। এরপরই ট্রেন বন্ধ করে চালক পালিয়ে যান। পরে যাত্রীরা স্টেশন সুপারের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
হাওর এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকায় যাবে না—শোনার পর যাত্রীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। ঢাকায় যেতে না পারলে কেন ময়মনসিংহ পর্যন্ত আনা হলো, তাঁরা এমন প্রশ্ন করেন স্টেশন সুপারের কাছে। এ সময় টাকা ফেরতের দাবি জানান কয়েকজন যাত্রী।
ময়মনসিংহ রেলস্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট এস এম নাজমুল হক খান বলেন, আন্দোলনের কারণে ২৮ জোড়া ট্রেন বন্ধ। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বিআরটিসি বাসে তাঁদের গন্তব্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তবে বেলা একটা পর্যন্ত কোনো যাত্রীকে বিকল্প পথে ঢাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়নি। কোনো যাত্রীকে টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি। বিষয়টি সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান স্টেশন সুপার নাজমুল হক খান।
মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন ট্রেনের রানিং স্টাফরা। গত বুধবার চট্টগ্রামে পুরোনো রেলস্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দাবি মানার শর্ত দেয় রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন। অন্যথায় ২৮ জানুয়ারি থেকে রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় তারা।
এই রানিং স্টাফরা হলেন গার্ড, ট্রেনচালক (লোকোমাস্টার), সহকারী চালক ও টিকিট পরিদর্শক (টিটিই)। তাঁরা সাধারণত দীর্ঘ সময় ট্রেনে দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি কাজ করলে বেসিকের (মূল বেতন) হিসাবে বাড়তি অর্থ পেতেন তাঁরা। এ ছাড়া অবসরের পর বেসিকের সঙ্গে এর ৭৫ শতাংশ অর্থ যোগ করে অবসরকালীন অর্থের হিসাব হতো।