ময়মনসিংহ , বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

দুর্বল ব্যাংকের গ্রাহকরা টাকা ফেরত পাবেন বললেন গভর্নর

  • স্টাফ রির্পোটার
  • আপডেট সময় ০৩:২৮:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

দুর্বল ব্যাংকে জমা রাখা অর্থ গ্রাহকদের ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, জমা অর্থ আপনারা ফেরত পাবেন। তবে এ জন্য কিছুটা সময় দিতে হবে। এই অর্থ ধাপে ধাপে ফেরত দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ পরিস্থিতি নিয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে গত ১০ বছর আগে থেকে বলে আসছি যে এস আলমের ব্যাংকে আপনারা টাকা রাখবেন না। কিন্তু আপনারা টাকা রেখেছেন। তারা দুই শতাংশ সুদ বেশি দিয়েছে, আর আপনারা সেখানেই টাকা রেখেছেন; এখন ধরা খেয়েছেন।’

গভর্নর বলেন, ‘এখন আপনাদের আমরা উদ্ধার করব; কিন্তু এখনই সেটি সম্ভব না। আমরা ধাপে ধাপে করব; এ জন্য সময় দিতে হবে। আমরা ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্টের দিকে যাচ্ছি, কিছু ব্যাংক একীভূত করতে হবে। অনেক কিছু করা যাবে, করা হবে। এ বছরেই হয়তো অনেক কিছু করা হবে। এতটুকু বলতে পারি, আপনারা টাকা পান, আর বন্ড পান, কিছু একটা পাবেন।’

টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নের ক্ষেত্রে বর্তমানে বিতরণ করা ক্ষুদ্রঋণ কতটা ভূমিকা রাখছে সেটি পর্যালোচনার পরামর্শ দেন পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল কাদের।

তিনি বলেন, বর্তমানে দাবি করা হয় ছয় কোটি ৪০ লাখ ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতা রয়েছেন। তবে ওভারল্যাপিং অ্যাডজাস্টমেন্ট করলে এই সংখ্যা অনেক কমে যাবে। আমার মতে এটি তিন কোটি বেশি হবে না। সে ক্ষেত্রে আনসাসটেইনেবল ঋণ বাড়ছে কিনা সেটি দেখতে হবে।

ফজলুল কাদের আরও বলেন, সরকারের ২২টি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এগুলোর প্রয়োজন আছে কিনা সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, সরকারের ২২টা মন্ত্রণালয়ে যে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম চলছে, সেটির যৌক্তিকতা আছে কিনা তা দেখা প্রয়োজন৷ আমি মনে করি সরকারের এ ধরনের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গ্রাহকের মাঝে ৩ লাখ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে এমআরএ সনদপ্রাপ্ত ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো। এটি আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্বল ব্যাংকের গ্রাহকরা টাকা ফেরত পাবেন বললেন গভর্নর

আপডেট সময় ০৩:২৮:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

দুর্বল ব্যাংকে জমা রাখা অর্থ গ্রাহকদের ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, জমা অর্থ আপনারা ফেরত পাবেন। তবে এ জন্য কিছুটা সময় দিতে হবে। এই অর্থ ধাপে ধাপে ফেরত দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ পরিস্থিতি নিয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে গত ১০ বছর আগে থেকে বলে আসছি যে এস আলমের ব্যাংকে আপনারা টাকা রাখবেন না। কিন্তু আপনারা টাকা রেখেছেন। তারা দুই শতাংশ সুদ বেশি দিয়েছে, আর আপনারা সেখানেই টাকা রেখেছেন; এখন ধরা খেয়েছেন।’

গভর্নর বলেন, ‘এখন আপনাদের আমরা উদ্ধার করব; কিন্তু এখনই সেটি সম্ভব না। আমরা ধাপে ধাপে করব; এ জন্য সময় দিতে হবে। আমরা ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্টের দিকে যাচ্ছি, কিছু ব্যাংক একীভূত করতে হবে। অনেক কিছু করা যাবে, করা হবে। এ বছরেই হয়তো অনেক কিছু করা হবে। এতটুকু বলতে পারি, আপনারা টাকা পান, আর বন্ড পান, কিছু একটা পাবেন।’

টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নের ক্ষেত্রে বর্তমানে বিতরণ করা ক্ষুদ্রঋণ কতটা ভূমিকা রাখছে সেটি পর্যালোচনার পরামর্শ দেন পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল কাদের।

তিনি বলেন, বর্তমানে দাবি করা হয় ছয় কোটি ৪০ লাখ ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতা রয়েছেন। তবে ওভারল্যাপিং অ্যাডজাস্টমেন্ট করলে এই সংখ্যা অনেক কমে যাবে। আমার মতে এটি তিন কোটি বেশি হবে না। সে ক্ষেত্রে আনসাসটেইনেবল ঋণ বাড়ছে কিনা সেটি দেখতে হবে।

ফজলুল কাদের আরও বলেন, সরকারের ২২টি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এগুলোর প্রয়োজন আছে কিনা সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, সরকারের ২২টা মন্ত্রণালয়ে যে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম চলছে, সেটির যৌক্তিকতা আছে কিনা তা দেখা প্রয়োজন৷ আমি মনে করি সরকারের এ ধরনের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গ্রাহকের মাঝে ৩ লাখ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে এমআরএ সনদপ্রাপ্ত ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো। এটি আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি।