ময়মনসিংহ , বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

অভিনেতা ইরেশ যাকের হত্যা মামলায় আসামি

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গেলো বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তাকে এবং আওয়ামী লীগপন্থী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার অভিযোগ ওঠে। সর্বশেষ আন্দোলনে নিহত বিএনপি কর্মী মাহফুজ আলম শ্রাবণ হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনা, অভিনেতা ইরেশ যাকেরসহ ৪০৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জানা গেছে, নিহতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পী রোববার (২০ এপ্রিল) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করার আবেদন করেন। ওইদিন আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করে এবং মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।

বাদী মোস্তাফিজুর রহমান তার অভিযোগে বলেন, তার ছোট ভাই মাহফুজ আলম শ্রাবণ (২১) বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি রেনেটা কোম্পানিতে ছয় মাস ধরে ক্যাজুয়াল কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে শ্রাবণ নিয়মিতভাবে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন এবং ছাত্রদের পক্ষে স্লোগান দেন।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, সংঘবদ্ধ হামলার সময় শ্রাবণের বুকের বাম পাশে গুলি লাগে এবং তা ডান পাশের কোমর ছিদ্র করে বেরিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শ্রাবণ মিরপুর মডেল থানার গেটের সামনে রাস্তায় পড়ে যান। এসময় আরও অনেক আন্দোলনকারীও গুলিবিদ্ধ হন। পরে ছাত্র-জনতা শ্রাবণকে উদ্ধার করে মিরপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

অভিনেতা ইরেশ যাকের হত্যা মামলায় আসামি

আপডেট সময় ১১:১২:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গেলো বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তাকে এবং আওয়ামী লীগপন্থী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার অভিযোগ ওঠে। সর্বশেষ আন্দোলনে নিহত বিএনপি কর্মী মাহফুজ আলম শ্রাবণ হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনা, অভিনেতা ইরেশ যাকেরসহ ৪০৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জানা গেছে, নিহতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পী রোববার (২০ এপ্রিল) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করার আবেদন করেন। ওইদিন আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করে এবং মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।

বাদী মোস্তাফিজুর রহমান তার অভিযোগে বলেন, তার ছোট ভাই মাহফুজ আলম শ্রাবণ (২১) বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি রেনেটা কোম্পানিতে ছয় মাস ধরে ক্যাজুয়াল কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে শ্রাবণ নিয়মিতভাবে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন এবং ছাত্রদের পক্ষে স্লোগান দেন।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, সংঘবদ্ধ হামলার সময় শ্রাবণের বুকের বাম পাশে গুলি লাগে এবং তা ডান পাশের কোমর ছিদ্র করে বেরিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শ্রাবণ মিরপুর মডেল থানার গেটের সামনে রাস্তায় পড়ে যান। এসময় আরও অনেক আন্দোলনকারীও গুলিবিদ্ধ হন। পরে ছাত্র-জনতা শ্রাবণকে উদ্ধার করে মিরপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।