ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
গোলাম আজম যদি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হয়, তাহলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানটা কোথায় বললেন মির্জা আব্বাস হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল জানান বড় ভাই ওমর ফারুক আওয়ামী লীগ ৩ বার ক্ষমতায় এসে কাড়ি কাড়ি লাশ উপহার দিয়েছে বললেন জামায়াত আমির মওলানা ভাসানী- ওসমান হাদির ছবি ধানমন্ডি বত্রিশে টাঙানো হলো লাখো নেতাকর্মীর ঢল জামায়াতের যুব ম্যারাথনে নতুন ধারায় রাজনীতি শুরু করতে চাই বললেন জামায়াত আমির জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল,বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা ‘এয়ার শো’ দেখতে মানুষের ঢল পুরোনো বিমানবন্দরে প্রতিপক্ষ পেছন দিক থেকে আঘাত করার অপচেষ্টা করছে বললেন রিজওয়ানা হাসান নতুন মুক্তিযোদ্ধা ৮৪,২৮ জনের নাম মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী তালিকায়
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

আওয়ামী লীগ ৩ বার ক্ষমতায় এসে কাড়ি কাড়ি লাশ উপহার দিয়েছে বললেন জামায়াত আমির

আওয়ামী লীগ তিন দফায় ক্ষমতায় এসে দেশকে ছোপ ছোপ রক্ত আর কাড়ি কাড়ি লাশ উপহার দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর জনগণ যে স্বপ্ন দেখেছিল, আওয়ামী লীগের শাসনামলে তার বাস্তবায়ন হয়নি।

আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে ‘যুব ম্যারাথন’ উদ্বোধনের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের শাসনকাল তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘৭২ থেকে ৭৫, ১৯৯৬ এবং ২০০৯—এই তিন দফায় তাদের ক্ষমতায় থাকার সময়ে বাংলাদেশের এমন কোনো জনপদ নেই, যেখানে তাদের হাতে মানুষ মারা যায়নি। এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে মা-বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠিত হয়নি। একটি প্রতীকে ভোট দেওয়ার অপরাধে নোয়াখালীতে একজন মাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়েছিল।’

মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ব ও পরবর্তী প্রেক্ষাপট তুলে ধরে জামায়াত আমির বলেন, ‘১৯৭১ সালে ছাত্র-শ্রমিক-কৃষক-জনতা একবুক আশা আর চোখভরা স্বপ্ন নিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। মানুষ ভেবেছিল দেশ সব ধরনের বৈষম্য থেকে মুক্ত হবে, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু স্বাধীনতার পরবর্তী শাসকগোষ্ঠী জনগণের সেই আশা পূরণ করতে পারেনি।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর সেনাবাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী ও পুলিশ থাকার পরও রক্ষীবাহিনী গঠন করা হয়েছিল। তাদের হাতে মানুষ নির্যাতিত হয়েছে, মা-বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠিত হয়েছে। ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে শত শত মানুষের লাশ মাঠে-ঘাটে পড়ে ছিল, দাফনের ব্যবস্থাও ছিল না। সোনার বাংলা গড়ার কথা বলে দেশকে শ্মশানে পরিণত করা হয়েছিল।’

যুবকদের উদ্দেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘অতীতের সব বস্তাপচা রাজনীতিকে পায়ের নিচে ফেলে দিতে হবে। এখন বাংলাদেশে নতুন রাজনীতি দরকার—যে রাজনীতি হবে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ ও মামলাবাজির বিপক্ষে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুধু দলের বিজয় চাই না, চাই ১৮ কোটি মানুষের বিজয়। এই বিজয়ের পথে যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে, যুবকরাই তাদের প্রতিহত করবে।’

নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা কোনো আনুকূল্য চাই না। কিন্তু কমিশন যদি কারও প্রতি সামান্য আনুকূল্যও দেখায়, তা বরদাস্ত করা হবে না। শপথ অনুযায়ী নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়ার দায়িত্ব কমিশনকেই পালন করতে হবে।’

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

গোলাম আজম যদি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হয়, তাহলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানটা কোথায় বললেন মির্জা আব্বাস

আওয়ামী লীগ ৩ বার ক্ষমতায় এসে কাড়ি কাড়ি লাশ উপহার দিয়েছে বললেন জামায়াত আমির

আপডেট সময় ০২:০৮:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

আওয়ামী লীগ তিন দফায় ক্ষমতায় এসে দেশকে ছোপ ছোপ রক্ত আর কাড়ি কাড়ি লাশ উপহার দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর জনগণ যে স্বপ্ন দেখেছিল, আওয়ামী লীগের শাসনামলে তার বাস্তবায়ন হয়নি।

আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে ‘যুব ম্যারাথন’ উদ্বোধনের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের শাসনকাল তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘৭২ থেকে ৭৫, ১৯৯৬ এবং ২০০৯—এই তিন দফায় তাদের ক্ষমতায় থাকার সময়ে বাংলাদেশের এমন কোনো জনপদ নেই, যেখানে তাদের হাতে মানুষ মারা যায়নি। এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে মা-বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠিত হয়নি। একটি প্রতীকে ভোট দেওয়ার অপরাধে নোয়াখালীতে একজন মাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়েছিল।’

মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ব ও পরবর্তী প্রেক্ষাপট তুলে ধরে জামায়াত আমির বলেন, ‘১৯৭১ সালে ছাত্র-শ্রমিক-কৃষক-জনতা একবুক আশা আর চোখভরা স্বপ্ন নিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। মানুষ ভেবেছিল দেশ সব ধরনের বৈষম্য থেকে মুক্ত হবে, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু স্বাধীনতার পরবর্তী শাসকগোষ্ঠী জনগণের সেই আশা পূরণ করতে পারেনি।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর সেনাবাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী ও পুলিশ থাকার পরও রক্ষীবাহিনী গঠন করা হয়েছিল। তাদের হাতে মানুষ নির্যাতিত হয়েছে, মা-বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠিত হয়েছে। ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে শত শত মানুষের লাশ মাঠে-ঘাটে পড়ে ছিল, দাফনের ব্যবস্থাও ছিল না। সোনার বাংলা গড়ার কথা বলে দেশকে শ্মশানে পরিণত করা হয়েছিল।’

যুবকদের উদ্দেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘অতীতের সব বস্তাপচা রাজনীতিকে পায়ের নিচে ফেলে দিতে হবে। এখন বাংলাদেশে নতুন রাজনীতি দরকার—যে রাজনীতি হবে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ ও মামলাবাজির বিপক্ষে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুধু দলের বিজয় চাই না, চাই ১৮ কোটি মানুষের বিজয়। এই বিজয়ের পথে যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে, যুবকরাই তাদের প্রতিহত করবে।’

নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা কোনো আনুকূল্য চাই না। কিন্তু কমিশন যদি কারও প্রতি সামান্য আনুকূল্যও দেখায়, তা বরদাস্ত করা হবে না। শপথ অনুযায়ী নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়ার দায়িত্ব কমিশনকেই পালন করতে হবে।’