ময়মনসিংহ , মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
আগের নির্বাচনে যেসব পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের বাদ দেওয়া হবে বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পোড়া কার্গো কমপ্লেক্সের ভল্ট ভেঙে আগ্নেয়াস্ত্র চুরি শাহজালাল বিমানবন্দরের দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৩ জনের হবিগঞ্জে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অবৈধ সুবিধা দিলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০ মেহেরপুরে তরুণীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক রাজধানীতে আওয়ামী লীগের সবাই দেশপ্রেমিক দলকে ভোট দেবে বললেন মির্জা আব্বাস ৯ নভেম্বর মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন কার্ড ডাউনলোড শুরু আগামী সপ্তাহে শেখ হাসিনার বিচারের রায় হবে বললেন মাহফুজ আলম ৮৯১ প্রকল্পে জলবায়ুর ২ হাজার ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

আদানি গ্রুপ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে

  • ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২১:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

ভারতের বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান আদানির বিদ্যুৎ সংস্থা আদানি পাওয়ার জানিয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে পাওয়ার সাপ্লাই সংক্রান্ত বকেয়া অর্থপ্রদানের বিষয়ে উদ্ভূত বিতর্ক সমাধানের জন্য তারা আন্তর্জাতিক সালিশি প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে।

সংস্থাটি ভারতের বিশাল ব্যবসায়ী গৌতম আদানি নেতৃত্বাধীন এবং ২০১৭ সালে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের সঙ্গে স্বাক্ষরিত বিদ্যুৎ চুক্তির আওতায় সরবরাহকৃত বিদ্যুতের বকেয়া অর্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বিবাদে রয়েছে।

আদানি গ্রুপের একজন মুখপাত্রের বক্তব্যে বলা হয়েছে, ‘কিছু খরচের উপাদান গণনা ও বিলিংয়ের ক্ষেত্রে মতবিরোধ রয়েছে। তাই উভয় পক্ষই বিতর্ক সমাধান প্রক্রিয়া গ্রহণে সম্মত হয়েছে এবং তারা দ্রুত, সহজ ও পারস্পরিক উপকারী সমাধানের আশা করছে।’

তবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এখনো আলোচনা চলমান। তিনি বলেন, ‘এই প্রক্রিয়া শেষ হলে, প্রয়োজন হলে আমরা আন্তর্জাতিক সালিশির পথে যাব।’

এর আগে অন্তর্বর্তী সরকার আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল, গোড্ডা প্ল্যান্টের জন্য ভারত থেকে পাওয়া কর সুবিধা বিরোধীভাবে স্থগিত রাখায় তারা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।

বাংলাদেশ গত অর্থবছরে আদানিকে প্রতি ইউনিট ১৪.৮৭ টাকা হারে বিদ্যুতের দাম পরিশোধ করেছে, যা অন্যান্য ভারতীয় কোম্পানির সরবরাহকৃত বিদ্যুতের গড় ৯.৫৭ টাকার চেয়ে বেশি।

গত সপ্তাহে আদানি পাওয়ার জানায়, বাংলাদেশের কাছ থেকে তাদের পাওনা এখন অনেক কমে এসেছে। মে মাসে যেখানে বকেয়া ছিল প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার এবং বছরের শুরুর দিকে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছিল, এখন তা কমে ১৫ দিনের ট্যারিফ সমপরিমাণে নেমে এসেছে।

সংস্থাটি সোমবার আরও জানায়, ‘আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি অটুট রাখবে এবং নির্ভরযোগ্য, প্রতিযোগিতামূলক ও উচ্চমানের বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে থাকবে।’

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আগের নির্বাচনে যেসব পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের বাদ দেওয়া হবে বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আদানি গ্রুপ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিশের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে

আপডেট সময় ১২:২১:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

ভারতের বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান আদানির বিদ্যুৎ সংস্থা আদানি পাওয়ার জানিয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে পাওয়ার সাপ্লাই সংক্রান্ত বকেয়া অর্থপ্রদানের বিষয়ে উদ্ভূত বিতর্ক সমাধানের জন্য তারা আন্তর্জাতিক সালিশি প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে।

সংস্থাটি ভারতের বিশাল ব্যবসায়ী গৌতম আদানি নেতৃত্বাধীন এবং ২০১৭ সালে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের সঙ্গে স্বাক্ষরিত বিদ্যুৎ চুক্তির আওতায় সরবরাহকৃত বিদ্যুতের বকেয়া অর্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বিবাদে রয়েছে।

আদানি গ্রুপের একজন মুখপাত্রের বক্তব্যে বলা হয়েছে, ‘কিছু খরচের উপাদান গণনা ও বিলিংয়ের ক্ষেত্রে মতবিরোধ রয়েছে। তাই উভয় পক্ষই বিতর্ক সমাধান প্রক্রিয়া গ্রহণে সম্মত হয়েছে এবং তারা দ্রুত, সহজ ও পারস্পরিক উপকারী সমাধানের আশা করছে।’

তবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এখনো আলোচনা চলমান। তিনি বলেন, ‘এই প্রক্রিয়া শেষ হলে, প্রয়োজন হলে আমরা আন্তর্জাতিক সালিশির পথে যাব।’

এর আগে অন্তর্বর্তী সরকার আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল, গোড্ডা প্ল্যান্টের জন্য ভারত থেকে পাওয়া কর সুবিধা বিরোধীভাবে স্থগিত রাখায় তারা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।

বাংলাদেশ গত অর্থবছরে আদানিকে প্রতি ইউনিট ১৪.৮৭ টাকা হারে বিদ্যুতের দাম পরিশোধ করেছে, যা অন্যান্য ভারতীয় কোম্পানির সরবরাহকৃত বিদ্যুতের গড় ৯.৫৭ টাকার চেয়ে বেশি।

গত সপ্তাহে আদানি পাওয়ার জানায়, বাংলাদেশের কাছ থেকে তাদের পাওনা এখন অনেক কমে এসেছে। মে মাসে যেখানে বকেয়া ছিল প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার এবং বছরের শুরুর দিকে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছিল, এখন তা কমে ১৫ দিনের ট্যারিফ সমপরিমাণে নেমে এসেছে।

সংস্থাটি সোমবার আরও জানায়, ‘আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি অটুট রাখবে এবং নির্ভরযোগ্য, প্রতিযোগিতামূলক ও উচ্চমানের বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে থাকবে।’