ময়মনসিংহ , শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

আপেক্ষিকতার আবির্ভাব

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ০২:৩২:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪
  • ৫৮ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ:

১৯০৫ সালে অ্যালবার্ট আইনস্টাইন প্রকাশ করেন বিশেষ আপেক্ষিকতার সূত্র। যেখানে তিনি বলেছেন— একজন পর্যবেক্ষকের আপেক্ষিক গতি এবং যে ঘটনা বা বস্তু পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে তার দৈর্ঘ্য এবং সময়ের ব্যবধান পরিমাপের ওপর প্রভাব ফেলে। দ্রুত চলমান ঘড়িকে একটা স্থির পর্যবেক্ষকের পর্যবেক্ষণে দেখা যায় এটি ধীরে চলে। এবং পরিমাপযোগ্য দৈর্ঘ্য নিশ্চল অবস্থা থেকেও আকারে ছোট দেখায়।তা সত্ত্বেও, আলোক গতি এবং পদার্থবিজ্ঞানের অনান্য নিয়মগুলো সব পর্যবেক্ষক সাপেক্ষেই অপরিবর্তিত দেখা যায়। চাই তারা যত দ্রুতই চলুক না কেন।

 

এটি আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয় আইনস্টাইনের বিখ্যাত শক্তি সমীকরণ E = mc2-এর  সাথে। m ভরের কোনো বস্তুর সমান শক্তির পরিমাণ ওই ভরের সাথে আলোর বেগ (c)-এর বর্গের গুণফলের সমান।সহজ কথা হলো, এই সমীকরণ দেখায় ভর কীভাবে শক্তিতে পরিণত হয়। এবার, ১ কেজি ভরের কোনও বস্তু লুপ্ত হলে যে শক্তি ছেড়ে যাবে তার পরিমাণ হবে ৯০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০ জুল। এই শক্তি দিয়ে মার্কিন মুল্লুকের এক দিনের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে অনায়াসে। মহাকাশে সংগঠিত নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়ার মাধ্যমে ভর নক্ষত্রকে শক্তি প্রদান করে।১৯১৫-১৯১৬ সালে আইনস্টাইন নিজের তত্ত্বকেই আরেকটু বিস্তৃত করে প্রকাশ করলেন সাধারণ আপেক্ষিকতার সূত্র হিসেবে। বিশেষ আপেক্ষিকতা ও নিউটনের মহাকর্ষ তত্ত্বকে এক ছাদের নিচে নিয়ে এলেন তিনি। এই তত্ত্বের মাধ্যমে তিনি স্থান ও কালের মাঝে একটা সেতু গড়ে দিলেন। সম্পর্কের সেতু। বস্তুর ঊর্ধ্বমুখী (পর্যবেক্ষক) বা নিম্নমুখী (মহাকর্ষ বল) গতি বা সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করা এই তত্ত্বের সাহায্যে।স্থান ও কালের বক্রতার মাধ্যমে মহাকর্ষীয় ত্বরণ ব্যাখ্যা করা সম্ভব। এই তত্ত্বে সূর্য, চাঁদ, নক্ষত্র, উল্কা ইত্যাদির গতি, মহাকর্ষ এবং পুরো মহাবিশ্বের গঠন ও প্রকৃতি ব্যাখ্যা করা যায়। কোনো বিষয় অন্য কোনও কিছুর সাপেক্ষে বিচার করাই আপেক্ষিকতা। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা বলে দেয়, কীভাবে একটা পর্যবেক্ষক এবং বস্তুর আপেক্ষিক গতি, এবং গতির পরিবর্তন, সময় ও দূরত্বের পরিমাপের পরিবর্তনের হালহকিকত সব।

পরিমণ্ডল
আপেক্ষিকতা নিয়ে করা ভবিষদ্বাণীগুলো বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। নিউটনের মহাকর্ষ তত্ত্বের বিপরীতে, আপেক্ষিকতার তত্ত্ব—একটা শক্তিশালী মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রে সময়ের ধীরগতি, বুধের কক্ষপথে অনিয়ম এবং মহাকর্ষীয় লেন্সিং দ্বারা সংঘটিত মরীচিকা ব্যাখ্যা করতে পারে। বাইনারি নক্ষত্রের দুটো নক্ষত্রের পারস্পরিক কাছে আসার কারণে আকার সর্পিলাকার হয় কেন তাও ব্যাখ্যা দিতে পারে আপেক্ষিকতার তত্ত্ব।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

আপেক্ষিকতার আবির্ভাব

আপডেট সময় ০২:৩২:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

অনলাইন নিউজ:

১৯০৫ সালে অ্যালবার্ট আইনস্টাইন প্রকাশ করেন বিশেষ আপেক্ষিকতার সূত্র। যেখানে তিনি বলেছেন— একজন পর্যবেক্ষকের আপেক্ষিক গতি এবং যে ঘটনা বা বস্তু পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে তার দৈর্ঘ্য এবং সময়ের ব্যবধান পরিমাপের ওপর প্রভাব ফেলে। দ্রুত চলমান ঘড়িকে একটা স্থির পর্যবেক্ষকের পর্যবেক্ষণে দেখা যায় এটি ধীরে চলে। এবং পরিমাপযোগ্য দৈর্ঘ্য নিশ্চল অবস্থা থেকেও আকারে ছোট দেখায়।তা সত্ত্বেও, আলোক গতি এবং পদার্থবিজ্ঞানের অনান্য নিয়মগুলো সব পর্যবেক্ষক সাপেক্ষেই অপরিবর্তিত দেখা যায়। চাই তারা যত দ্রুতই চলুক না কেন।

 

এটি আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয় আইনস্টাইনের বিখ্যাত শক্তি সমীকরণ E = mc2-এর  সাথে। m ভরের কোনো বস্তুর সমান শক্তির পরিমাণ ওই ভরের সাথে আলোর বেগ (c)-এর বর্গের গুণফলের সমান।সহজ কথা হলো, এই সমীকরণ দেখায় ভর কীভাবে শক্তিতে পরিণত হয়। এবার, ১ কেজি ভরের কোনও বস্তু লুপ্ত হলে যে শক্তি ছেড়ে যাবে তার পরিমাণ হবে ৯০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০ জুল। এই শক্তি দিয়ে মার্কিন মুল্লুকের এক দিনের বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে অনায়াসে। মহাকাশে সংগঠিত নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়ার মাধ্যমে ভর নক্ষত্রকে শক্তি প্রদান করে।১৯১৫-১৯১৬ সালে আইনস্টাইন নিজের তত্ত্বকেই আরেকটু বিস্তৃত করে প্রকাশ করলেন সাধারণ আপেক্ষিকতার সূত্র হিসেবে। বিশেষ আপেক্ষিকতা ও নিউটনের মহাকর্ষ তত্ত্বকে এক ছাদের নিচে নিয়ে এলেন তিনি। এই তত্ত্বের মাধ্যমে তিনি স্থান ও কালের মাঝে একটা সেতু গড়ে দিলেন। সম্পর্কের সেতু। বস্তুর ঊর্ধ্বমুখী (পর্যবেক্ষক) বা নিম্নমুখী (মহাকর্ষ বল) গতি বা সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করা এই তত্ত্বের সাহায্যে।স্থান ও কালের বক্রতার মাধ্যমে মহাকর্ষীয় ত্বরণ ব্যাখ্যা করা সম্ভব। এই তত্ত্বে সূর্য, চাঁদ, নক্ষত্র, উল্কা ইত্যাদির গতি, মহাকর্ষ এবং পুরো মহাবিশ্বের গঠন ও প্রকৃতি ব্যাখ্যা করা যায়। কোনো বিষয় অন্য কোনও কিছুর সাপেক্ষে বিচার করাই আপেক্ষিকতা। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা বলে দেয়, কীভাবে একটা পর্যবেক্ষক এবং বস্তুর আপেক্ষিক গতি, এবং গতির পরিবর্তন, সময় ও দূরত্বের পরিমাপের পরিবর্তনের হালহকিকত সব।

পরিমণ্ডল
আপেক্ষিকতা নিয়ে করা ভবিষদ্বাণীগুলো বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। নিউটনের মহাকর্ষ তত্ত্বের বিপরীতে, আপেক্ষিকতার তত্ত্ব—একটা শক্তিশালী মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রে সময়ের ধীরগতি, বুধের কক্ষপথে অনিয়ম এবং মহাকর্ষীয় লেন্সিং দ্বারা সংঘটিত মরীচিকা ব্যাখ্যা করতে পারে। বাইনারি নক্ষত্রের দুটো নক্ষত্রের পারস্পরিক কাছে আসার কারণে আকার সর্পিলাকার হয় কেন তাও ব্যাখ্যা দিতে পারে আপেক্ষিকতার তত্ত্ব।