বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ যখন একটা নতুন অধ্যায়ের দিকে একটা নতুন সূর্য দেখছে, বাংলাদেশর মানুষ স্বপ্ন দেখছে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণ করবে। ঠিক সেই সময় আবার নতুন করে বাংলাদেশের শত্রুরা হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছে।
গত পরশু যে ঘটনা ঘটেছে (ওসমান হাদির ওপর হামলা) আমরা তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছি এবং আমরা আশঙ্কা করছি যে এরকম আরও ঘটনা ঘটতে পারে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যখন পাক হানাদার বাহিনীর পরাজয় অসাধ্য হয়ে উঠেছে, চতুর্দিক থেকে যখন মুক্তিবাহিনী ঢাকা ঘিরে ফেলেছে, সেই সময়ে পাক হানাদার বাহিনী এই বাংলাদেশে সমস্ত মেধাকে বিনষ্ট করে দেওয়ার জন্য এই দেশের সমস্ত বুদ্ধিজীবীদের তুলে তুলে নিয়ে গিয়ে দোসরদের সঙ্গে তারা যোগসাজশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, গবেষক, কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ অনেককেই তারা তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে। এভাবেই আমরা আমাদের সর্বশেষ্ঠ সন্তানদের হারাই। এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে আমাদের নেত্রী যিনি অসুস্থ, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া তার পক্ষ থেকে আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এসেছি, শ্রদ্ধা জানিয়েছি। আমরা এই শপথ নিয়েছি যে, আমরা যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করবো, স্বর্বভৌমত্বকে রক্ষা করবো এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। এই দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের সবার প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আমাদের নেতা আমাদের প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই বাংলাদেশের যে আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলেন তার প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র নেতারা এবং ঢাকা মহানগর ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ডিজিটাল রিপোর্ট 
























