ময়মনসিংহ , শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

আহ্ববান পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত রাখার

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ০১:১৩:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

সংগৃহীত ছবি

অনলাইন নিউজ:

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস–সংলগ্ন মাঠটি উন্মুক্ত স্থান হিসেবে সংরক্ষণ করার আহ্বান জানিয়েছে পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরাম। গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে তাঁরা এই আহ্বান জানান।স্মারকলিপিতে শুরুতেই চট্টগ্রাম নগরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণটি উদ্ধার ও অবমুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসককে সাধুবাদ জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ১৯১৩ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস (প্রায় ৩ দশমিক ৮৯ একর) প্রাঙ্গণ যুগ যুগ ধরে নগরবাসীর সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জীবনে একটি উন্মুক্ত নাগরিক কেন্দ্রের সুবিধা দিয়ে এসেছে। কিন্তু সেখানে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের ফলে তা ধ্বংস হয়ে যায়। আমরা মনে করি, সম্প্রতি উদ্ধার করা স্থানটিকে আবারও আগের মতো প্রাকৃতিক সবুজ উদ্যান তথা, চট্টগ্রামবাসীর জন্য একটি সর্বজনীন মুক্ত ময়দানে পরিণত করা প্রয়োজন।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত ১৬৮ দশমিক ১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের চট্টগ্রামে ৫২ লাখ জনসংখ্যার বিপরীতে উন্মুক্ত স্থান আছে মাত্র শূন্য দশমিক ১৮ বর্গকিলোমিটার। সেই হাতে গোনা অল্প কয়েকটি উন্মুক্ত স্থানও বারবার নানা অপরিকল্পিত ও অপ–উন্নয়নে বিনষ্ট হচ্ছে। এই বাস্তবতায় সার্কিট হাউস চত্বরকে টেকসই উন্নয়ন রীতি অনুসরণ করে একটি উন্মুক্ত নাগরিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

আহ্ববান পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত রাখার

স্মারকলিপিতে বলা হয়, নগরজীবনে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য উপযুক্ত আলো, হাওয়াসমৃদ্ধ সবুজ মুক্তাঙ্গন—উদ্যান, খেলার মাঠ, পাহাড়, জলাশয় ইত্যাদি আবশ্যক। এ জন্য সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণসহ চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন স্থানে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা উন্মুক্ত পরিসরগুলো সংরক্ষণ করা জরুরি।স্মারকলিপি প্রদানের সময় পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি জেরিনা হোসেন, প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া, শিল্পী শাহরিয়ার খালেদ ও পরিবেশবিদ তাসলিমা মুনা উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

আহ্ববান পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত রাখার

আপডেট সময় ০১:১৩:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

অনলাইন নিউজ:

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস–সংলগ্ন মাঠটি উন্মুক্ত স্থান হিসেবে সংরক্ষণ করার আহ্বান জানিয়েছে পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরাম। গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে তাঁরা এই আহ্বান জানান।স্মারকলিপিতে শুরুতেই চট্টগ্রাম নগরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণটি উদ্ধার ও অবমুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসককে সাধুবাদ জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ১৯১৩ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস (প্রায় ৩ দশমিক ৮৯ একর) প্রাঙ্গণ যুগ যুগ ধরে নগরবাসীর সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জীবনে একটি উন্মুক্ত নাগরিক কেন্দ্রের সুবিধা দিয়ে এসেছে। কিন্তু সেখানে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের ফলে তা ধ্বংস হয়ে যায়। আমরা মনে করি, সম্প্রতি উদ্ধার করা স্থানটিকে আবারও আগের মতো প্রাকৃতিক সবুজ উদ্যান তথা, চট্টগ্রামবাসীর জন্য একটি সর্বজনীন মুক্ত ময়দানে পরিণত করা প্রয়োজন।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত ১৬৮ দশমিক ১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের চট্টগ্রামে ৫২ লাখ জনসংখ্যার বিপরীতে উন্মুক্ত স্থান আছে মাত্র শূন্য দশমিক ১৮ বর্গকিলোমিটার। সেই হাতে গোনা অল্প কয়েকটি উন্মুক্ত স্থানও বারবার নানা অপরিকল্পিত ও অপ–উন্নয়নে বিনষ্ট হচ্ছে। এই বাস্তবতায় সার্কিট হাউস চত্বরকে টেকসই উন্নয়ন রীতি অনুসরণ করে একটি উন্মুক্ত নাগরিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

আহ্ববান পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত রাখার

স্মারকলিপিতে বলা হয়, নগরজীবনে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য উপযুক্ত আলো, হাওয়াসমৃদ্ধ সবুজ মুক্তাঙ্গন—উদ্যান, খেলার মাঠ, পাহাড়, জলাশয় ইত্যাদি আবশ্যক। এ জন্য সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণসহ চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন স্থানে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা উন্মুক্ত পরিসরগুলো সংরক্ষণ করা জরুরি।স্মারকলিপি প্রদানের সময় পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি জেরিনা হোসেন, প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া, শিল্পী শাহরিয়ার খালেদ ও পরিবেশবিদ তাসলিমা মুনা উপস্থিত ছিলেন।