ময়মনসিংহ , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিশু আরাফাত মারা গেছে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঘন কুয়াশায় নাটোরে ৬ ট্রাকে সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত ৭ ডলার বাজারে অস্থিরতা, লেনদেনের তথ্য চায় বাংলাদেশ ব্যাংক সাবেক এমপি পোটন রিমান্ডে যুবদল নেতা হত্যা মামলায় টিউলিপ সিদ্দিককে যুক্তরাজ্যে জিজ্ঞাসাবাদ,৪ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ চিরকুট লিখে বীর মুক্তিযোদ্ধা আত্মহত্যা করলেন দুদকের মামলা স্ত্রী-কন্যাসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহে সরকারি প্রতিষ্ঠানে চলছিল অস্ত্র-মাদক কেনাবেচা
নোটিশ :
প্রতিটি জেলা- উপজেলায় একজন করে ভিডিও প্রতিনিধি আবশ্যক। যোগাযোগঃ- Email- matiomanuss@gmail.com. Mobile No- 017-11684104, 013-03300539.

ইরানিদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া-রাইসির মৃত্যু ঘিরে

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় ১১:৪২:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪
  • ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

ইরানের ভেতর এবং বিদেশে নির্বাসিত দেশটির বিরোধীদলের নেতাদের কাছে ১৯৮০’র দশক থেকেই রাইসি একজন ঘৃণিত ব্যক্তি। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির নিহত হওয়ার ঘটনায় সাধারণ ইরানিদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

সরকারের প্রতি অনুগত ইরানিরা মসজিদ এবং স্কয়ারগুলোতে জড়ো হয়ে রাইসি এবং তার সঙ্গে নিহত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ বাকি সাতজনের জন্য প্রার্থনা করেন। তাদের মৃত্যুতে ইরানে সোমবার থেকে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা দেওয়া হয়। আর এই সাত দিন দেশটিতে সকল ধরণের সাংস্কৃতিক ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ইরানের বেশিরভাগই দোকান সোমবার দিন খোলা ছিল। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন বাধাগ্রস্ত করার খুব একটা প্রচেষ্টা কর্তৃপক্ষের মধ্যে দেখা যায়নি।

ইরানিদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া-রাইসির মৃত্যু ঘিরে-

রাইসির আমলেই তেহরানে নীতি পুলিশের হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যু গিয়ে ইরান জুড়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। যে আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন নারীরা। হিজাব বিরোধী ওই আন্দোলন একসময় ইরানের কট্টোরপন্থি ইসলামিক শাসকদের বিরুদ্ধে এবং তাদের পতনের দাবিতে গণআন্দোলনে পরিণত হয়। যে আন্দোলন ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর দেশটিতে সবচেয়ে বড় আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল। কয়েক মাস ধরে সরকার পতনের দাবিতে ইরান জুড়ে ওই আন্দোলন চললেও শেষ পর্যন্ত রাইসি সরকারের কঠোর দমন-পীড়নে মাঝপথেই রণেভঙ্গ দিতে হয় আন্দোলনকারীদের। কয়েকশ বিক্ষোভকারী নিহত হন বলে জানায় নানা মানবাধিকার সংগঠন। গ্রেপ্তার করা হয় হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে।

ইরানিদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া-রাইসির মৃত্যু ঘিরে-

তেহরানের বাসিন্দা লায়লা নামে ২১ বছর বয়সের এক শিক্ষার্থী  বলেন, প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুর খবরে তিনি দুঃখ পাননি।“কারণ তিনি হিজাবের কারণে নারীদের উপর দমনপীড়নের নির্দেশ দিয়েছেন।তবে আমি এটা ভেবে দুঃখ পাচ্ছি যে এমনকি রাইসির মৃত্যুর পরও এ দেশে কোনো পরিবর্তনই আসবে না।” ২০২১ সালে ভোটের মাধ্যমে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন ৬৩ বছরের রাইসি। যদিও ওই ভোটের স্বচ্ছতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে এবং ভোটার উপস্থিতিও অনেক কম ছিল।তবে সব ইরানির মনোভাব লায়লার মত নয়। যেমন ২৮ বছর বয়সী তরুণ মোহাম্মদ হোসেইন জারাবি। প্রয়াত প্রেসিডেন্টের কাজের প্রংশসা করে তিনি বলেন, “তিনি কঠোর পরিশ্রমী একজন প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আমরা যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন তার আদর্শ ধারণ করে যাব।”

২০২০ সালে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের এক হামলায় নিহত হয়েছিলেন ইরানের অভিজাত রেভল্যুশনারি গার্ড এর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ছিলেন কাসেম সুলেইমানি। তার মৃত্যুতে ইরান জুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক শোকের যে মাতম হয়েছিল, তেমনটা রাইসির বেলা  একদম দেখা যাচ্ছে না ।

রাইসির মৃত্যু ইরানের চলমান শাসন ধারায় খুব সামান্য প্রভাবই ফেলবে বলে তাদের বিশ্বাস। বর্তমান শাসকরা তার জায়গায় এমন একজনকে আনবেন যিনি হয়তো রাইসির মত কট্টোরপন্থি মনভাবের হবেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে

ইরানিদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া-রাইসির মৃত্যু ঘিরে

আপডেট সময় ১১:৪২:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

ইরানের ভেতর এবং বিদেশে নির্বাসিত দেশটির বিরোধীদলের নেতাদের কাছে ১৯৮০’র দশক থেকেই রাইসি একজন ঘৃণিত ব্যক্তি। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির নিহত হওয়ার ঘটনায় সাধারণ ইরানিদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

সরকারের প্রতি অনুগত ইরানিরা মসজিদ এবং স্কয়ারগুলোতে জড়ো হয়ে রাইসি এবং তার সঙ্গে নিহত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ বাকি সাতজনের জন্য প্রার্থনা করেন। তাদের মৃত্যুতে ইরানে সোমবার থেকে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা দেওয়া হয়। আর এই সাত দিন দেশটিতে সকল ধরণের সাংস্কৃতিক ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ইরানের বেশিরভাগই দোকান সোমবার দিন খোলা ছিল। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন বাধাগ্রস্ত করার খুব একটা প্রচেষ্টা কর্তৃপক্ষের মধ্যে দেখা যায়নি।

ইরানিদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া-রাইসির মৃত্যু ঘিরে-

রাইসির আমলেই তেহরানে নীতি পুলিশের হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যু গিয়ে ইরান জুড়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। যে আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন নারীরা। হিজাব বিরোধী ওই আন্দোলন একসময় ইরানের কট্টোরপন্থি ইসলামিক শাসকদের বিরুদ্ধে এবং তাদের পতনের দাবিতে গণআন্দোলনে পরিণত হয়। যে আন্দোলন ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর দেশটিতে সবচেয়ে বড় আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল। কয়েক মাস ধরে সরকার পতনের দাবিতে ইরান জুড়ে ওই আন্দোলন চললেও শেষ পর্যন্ত রাইসি সরকারের কঠোর দমন-পীড়নে মাঝপথেই রণেভঙ্গ দিতে হয় আন্দোলনকারীদের। কয়েকশ বিক্ষোভকারী নিহত হন বলে জানায় নানা মানবাধিকার সংগঠন। গ্রেপ্তার করা হয় হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে।

ইরানিদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া-রাইসির মৃত্যু ঘিরে-

তেহরানের বাসিন্দা লায়লা নামে ২১ বছর বয়সের এক শিক্ষার্থী  বলেন, প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুর খবরে তিনি দুঃখ পাননি।“কারণ তিনি হিজাবের কারণে নারীদের উপর দমনপীড়নের নির্দেশ দিয়েছেন।তবে আমি এটা ভেবে দুঃখ পাচ্ছি যে এমনকি রাইসির মৃত্যুর পরও এ দেশে কোনো পরিবর্তনই আসবে না।” ২০২১ সালে ভোটের মাধ্যমে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন ৬৩ বছরের রাইসি। যদিও ওই ভোটের স্বচ্ছতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে এবং ভোটার উপস্থিতিও অনেক কম ছিল।তবে সব ইরানির মনোভাব লায়লার মত নয়। যেমন ২৮ বছর বয়সী তরুণ মোহাম্মদ হোসেইন জারাবি। প্রয়াত প্রেসিডেন্টের কাজের প্রংশসা করে তিনি বলেন, “তিনি কঠোর পরিশ্রমী একজন প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আমরা যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন তার আদর্শ ধারণ করে যাব।”

২০২০ সালে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের এক হামলায় নিহত হয়েছিলেন ইরানের অভিজাত রেভল্যুশনারি গার্ড এর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ছিলেন কাসেম সুলেইমানি। তার মৃত্যুতে ইরান জুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক শোকের যে মাতম হয়েছিল, তেমনটা রাইসির বেলা  একদম দেখা যাচ্ছে না ।

রাইসির মৃত্যু ইরানের চলমান শাসন ধারায় খুব সামান্য প্রভাবই ফেলবে বলে তাদের বিশ্বাস। বর্তমান শাসকরা তার জায়গায় এমন একজনকে আনবেন যিনি হয়তো রাইসির মত কট্টোরপন্থি মনভাবের হবেন।