এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে এডিবির সঙ্গে ৪০০ মিলিয়ন ডলার এবং কোরিয়ার সঙ্গে ১০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি হয়। এ ছাড়া গত ২০ মে ফরাসি উন্নয়ন সংস্থার (এএফডি) সঙ্গে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি চূড়ান্ত হয়। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরে মোট বাজেট সহায়তার পরিমাণ হবে ২.০৬ বিলিয়ন ডলার।মূলত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রাজস্ব আহরণের মাঝের ফাঁক পূরণে এবং বাজেট ঘাটতি মেটাতে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাজেট সহায়তা নেয় সরকার।এই টাকা বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার বিল ও দেনা পরিশোধ করে সরকার।
ইআরডির তথ্য মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল ১০ মাসে সুদ ও আসল বাবদ আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের প্রায় ২৮১ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে সরকার। গত অর্থবছরের একই সময়ে পরিশোধ করেছিল ১৯৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে ৮৬ কোটি ডলার। এর মধ্যে সুদ পরিশোধ করা হয়েছে ১১৪ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে।উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য উচ্চ সুদের ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমানে সরকার সতর্ক হচ্ছে এবং সে জন্যই আরো বেশি বাজেট সহায়তা ঋণের দিকে ঝুঁকছে বলে দেখা যাচ্ছে। প্রকল্প ঋণের তুলনায় এ ধরনের ঋণের শর্ত তুলনামূলকভাবে সহজ হয়। আর তা পাওয়া গেলে বৈদেশিক মুদ্রা রিভার্ভের ওপর চাপও কিছুটা কমে।
উন্নয়ন সহযোগীরা সরকারকে ১২৫ কোটি ডলার দিচ্ছে
সাধারণত বাজেট সহায়তা ঋণ দেওয়ার জন্য উন্নয়ন সহযোগীরা কিছু শর্ত দেয়। এডিবি ও কোরিয়ার এই বাজেট সহায়তার আওতায় সরকার জলবায়ুসংক্রান্ত বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক অর্থবছরগুলোয় সরকারের বাজেট সহায়তা নেওয়ার পরিমাণ বাড়তে দেখা যায়। মূলত কভিড-১৯-পরবর্তী সময়ে টিকা কেনা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য বাজেট সহায়তার পরিমাণ বেড়েছে। এ ছাড়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকার বাজেট সহায়তা নেওয়ার কার্যক্রম জোরদার করে।