আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, তারা গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষে কাজ করেছেন, কমিশনের মিটিংয়েও অংশ নিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, সংবিধানের ৭(ক) ধারা অনুসারে এই কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল হতে পারে। তিনি সতর্ক করে বলেন, “চাইলে কয়েকদিন পর আমাদের সবাইকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া যাবে।” ফুয়াদের মতে, যদি আগামী সংসদ এই পদক্ষেপগুলোকে র্যাটিফাই বা আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি না দেয়, তবে আইনগতভাবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব, এমনকি ফাঁসির রায়ও দেওয়া যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, “এনসিপির সবাইকেও ফাঁসি দেওয়া সম্ভব, যদি এই সংবিধান আপনি রাখেন।” তাঁর মতে, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে “জুলাই সনদ”-কে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়া এবং সংবিধানকে তার আলোকে ব্যাখ্যা করা অত্যন্ত জরুরি। ফুয়াদ জোর দিয়ে বলেন, দ্রুত এই বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছানো প্রয়োজন, কারণ বিলম্ব হলে আইনি জটিলতা ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা আরও বেড়ে যেতে পারে।
তাঁর বক্তব্যে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের উদ্বেগ ও বাস্তবতাও ফুটে ওঠে। তিনি মনে করেন, সংবিধানের এই ধারা অনুযায়ী রাজনৈতিক পরিবর্তনের উদ্যোগগুলোর বৈধতা স্পষ্ট না হলে ভবিষ্যতে যেকোনো দল বা সংগঠন রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তাই দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক অগ্রগতির স্বার্থে সাংবিধানিক স্বীকৃতি জরুরি বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

অনলাইন ডেস্ক 























