রাজধানীর কচুক্ষেত ও মিরপুর-১৪ এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর এবং আগুন দেয়ার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রিফাত, হৃদয় ও ইয়াসিন।
আইএসপিআর জানায়, রাজধানীর কচুক্ষেত এবং মিরপুর-১৪ এলাকায় গত ৩১ অক্টোবর দুষ্কৃতকারীরা সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর এবং পরে আগুন দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আক্রমণ ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার পর থেকে যৌথ অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে রিফাত, হৃদয় এবং ইয়াসিন নামক তিন দুষ্কৃতকারীকে ভাষানটেক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য ভাষানটেক থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পরিকল্পিতভাবে সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন দেয়া, জনমনে আতংক সৃষ্টি এবং সরকারি সম্পদ বিনষ্টকারী এই দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে আইএসপিআর।
গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে পোশাকশ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কচুক্ষেতে একটি পোষাক কারখানায় ‘কাজ না করলে বেতন নয়’ নোটিশ দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠা পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর সংঘর্ষ ও গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ৪০০ থেকে ৫০০ শ্রমিককে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) ঢাকার কাফরুল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম মুস্তফা।
তিনি বলেন, অজ্ঞাতপরিচয় ৪০০ থেকে ৫০০ শ্রমিককে আসামি করা মামলা হয়েছে। তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।