কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার ঝড়ে ফসল, বিশেষ করে ভুট্টা, ইরি বোরো ধান এবং শাকসবজি তছনছ হয়ে গেছে। এছাড়াও এলাকার বেশকিছু টিনের ঘর এবং কয়েক হাজার গাছপালা উপড়ে পড়ে। এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ।
ঝড়ের কারণে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে গিয়ে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। খুঁটি ভেঙ্গে যাওয়ার পাশাপাশি গাছের ডাল ভেঙ্গে বৈদ্যুতিক তারও ছিঁড়ে যায়, যার ফলে পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
কৃষকরা জানান, বাহাগিলি ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের কৃষক আয়নাল হোসেন, লালবাবু এবং মিয়া শামীম হোসেন বলেন, তাদের গ্রামে ৪০ থেকে ৫০ বিঘা জমির ভুট্টাক্ষেত সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।
চাঁদখানা ইউনিয়নের নগরবন গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন বলেন, তার তিন বিঘা জমির ধান ঝড়ে শুইয়ে পড়েছে, যা কাঁটতে বেশি শ্রমিক লাগবে এবং ফলনও কমবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঝড়ের তাণ্ডবে ৩০ থেকে ৩৫ বিঘা জমির ভুট্টাক্ষেত নষ্ট হয়েছে এবং গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। তবে, কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম জানান, ঝড়ের সময় শিলাবৃষ্টি না হওয়ায় ধানের ক্ষতি কম হয়েছে।
এদিকে, কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম নুরুজ্জামান মিয়া জানান, ঝড়ে দুইটি বিদ্যুৎ খুঁটি ভেঙ্গে গেছে এবং ৬টি স্থানে পোল হেঁলে গেছে। গাছের ডাল ভেঙ্গে বিদ্যুৎ তার ছিঁড়ে যাওয়ায় পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তিনি জানান, মেরামতের পর বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হবে।