খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিন দিন বেড়ে চলেছে কুকুরের উৎপাত। খাবার ক্যান্টিন থেকে খেলার মাঠ, একাডেমিক ভবন থেকে আবাসিক ভবন সব জায়গাতেই অবাধ বিচরণ করছে অসংখ্য কুকুর। বিভিন্ন সময় কুকুরের আক্রমণ ও ধাওয়া খেয়ে শিক্ষার্থীরা আহত হচ্ছেন, নাজেহাল হচ্ছেন প্রতিদিনই।
বেওয়ারিশ কুকুরের এমন উৎপাত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের কয়েকজনের বক্তব্য নিচে তুলে ধরা হলো।গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মুন্নি ইসলাম ২৬ সেপ্টেম্বর লিখেছেন,
”সকালে গোসল শেষে বাথরুম থেকে বের হয়েই দেখি ৫টা কুকুর চেঁচামেচি করছে। কিছু না বললেও একটি কুকুর আমার দিকে তেড়ে আসে। ছোটবেলার তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে কুকুর দেখলেই ভীষণ ভয় পাই। সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, চোখ অন্ধকার হয়ে আসে, মাথা ঘোরায়। প্যানিক অ্যাটাক হওয়ায় সহপাঠীরা আমাকে দ্রুত মেডিকেলে নিয়ে যায়। ডাক্তার অক্সিজেন, ইনজেকশন ও নেবুলাইজার দেন।”
”বিভিন্ন ক্যাম্পাস ও পাড়ায় এখন অনেক রাস্তার কুকুর দেখা যাচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনের কুকুর নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম হাইকোর্টের রায়ের কারণে বন্ধ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কুকুরপ্রেমী জনগোষ্ঠীর চাপ। গতকালও বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে কুকুর কামড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অসহায় একদিকে পশুপ্রেমী, অন্যদিকে আদালতের রায়। তাহলে শিক্ষার্থীরা কুকুরের আক্রমণ থেকে কীভাবে বাঁচবে?”